বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগ নেতা খুনের ২৬ বছর পর রায়, সবাই খালাস

November 24, 2022 | 9:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ২৬ বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল আলমকে খুনের মামলায় সাত আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামিরা সবাই সেসময়কার ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস আক্তার আসামিদের খুনের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

খালাস পেয়েছেন- আব্দুল ‍কুদ্দুস, মামুনুর রশীদ, নুরুল আলম, মোসাফেক, আব্দুল মতিন, রানা ও আলমগীর।

নব্বই দশকের ছাত্রদল নেতা ও পরে নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নুরুল আলম ‘এতিম আলম’ নামে পরিচিত ছিলেন। আলম, মোসাফেক ও মতি পলাতক বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি চারজন আদালতে হাজির ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

রায়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ২৬ বছর পর এ সংক্রান্ত কোনো সাক্ষীকে আর আদালতে হাজির করা যায়নি। সেসময় পুলিশ আলামত হিসেবে মৃতের রক্তাক্ত পোশাক জব্দ করেনি। পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং আলামত না পাওয়ায় আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন।’

বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালের ৪ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে প্রকাশ্য সড়কে মাইক্রোবাসে করে আসা অস্ত্রধারীরা নগরীর কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল আলমকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। এ ঘটনার পর নগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির তৎকালীন এক মন্ত্রীর অনুসারী ছাত্রদল-যুবদলের সন্ত্রাসীদের দায়ী করা হয়েছিল।

নিহত মাহমুদুল আলম তৎকালীন নগর ছাত্রলীগের একাংশের নিয়ন্ত্রক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। খুনের ঘটনায় তার ভাই মোবাশ্বের আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্ত করে ২০০৪ সালে ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিজ্ঞাপন

২০০৫ সালের ১০ আগস্ট দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার রায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ বছর ধরে চলা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিষ্পত্তি হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত মহানগর পিপি উত্তম কুমার দত্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামলাটি ২৬ বছরের পুরনো। হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে আদালত সেটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে রায় দিয়েছেন। অনেক সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়নি সঙ্গত কারণে। রাষ্ট্রপক্ষের কোনো গাফেলতি ছিল না। বাদীপক্ষ ইচ্ছা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।’

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন