December 17, 2017 | 11:46 am
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। রোববার চার্জ গঠনের শুনানি থাকলেও আসামিপক্ষের আবেদনের কারণে আদালত নতুন দিন ঘোষণা করেন। গত ৫ নভেম্বর আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলদার চার্জ গঠনের নতুন দিন ঠিক করেন।
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা চার্জশিট দাখিল করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্লোবাল এগ্রো ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড (গ্যাটকো) এর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন, ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।
মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। এরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপির চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকা।
সারাবাংলা/এআই/এএম/একে