ডিআরইউ’র সভাপতি নোমানী, সম্পাদক সোহেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নির্বাচনে সভাপতি পদে মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাইনুল হাসান সোহেল জয়ী হয়েছেন। এছাড়া সহসভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন দীপু সারোয়ার। আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মইনুল হাসান।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে ফল গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করেন ডিআরই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এর আগে, সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

সভাপতি পদে মুরসালিন নোমানী পেয়েছেন ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির আহমেদ খান পেয়েছেন ৫৪৩ ভোট। অপর সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মিঠু পেয়েছেন ২৬৪ ভোট। নির্বাচনে সহসভাপতি পদে দীপু সারেয়ার ৮২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যালমান শফি পেয়েছেন ৫৯১ ভোট।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মাইনুল হাসান সোহেল ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মহিউদ্দিন পেয়েছে ৩৮৩ ভোট। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে অপর চার প্রার্থী পেয়েছেন- যথাক্রমে শেখ জামাল ২৬০ ভোট, জামিউল আহসান শিপু ২৪৭ ভোট, আরাফাত দাড়িয়া ৭২ ভোট এবং আফজাল বারী পেয়েছেন ৫৫ ভোট।

এছাড়াও ডিআরইউ নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মঈনুল আহসান ৫০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক খান পেয়েছেন ২৮৬ ভোট। আর পবন আহমেদ ২৪৪ ভোট, নয়ন মুরাদ ২০৮ ও কামাল কামাল মোশারেফ ১৫২ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৮৭৮ ভোট। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আবদুল হাই তুহিন। তিনি পেয়েছেন ৫২৪ ভোট।

অর্থসম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন। তার প্রাপ্ত ভোট ৭১২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসাইন পেয়েছেন ৫২৪ ভোট। দফতর সম্পাদক পদে কাওসার আজম ৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রফিক রাফি। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট। নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে ৭৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মরিয়ম মনি (সেঁজুতি)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রোজিনা রোজী পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন কামাল উদ্দিন সুমন। তিনি পেয়েছেন ৭৩১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেজবাহ উল্লাহ শিমুল পেয়েছেন ৫৫৭ ভোট। তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদকের পদে তোফাজ্জল হোসেন রুবেল ৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান ৭২০ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রকিবুল ইসলাম মানিক পেয়েছে ৬১২ ভোট। আপ্যায়ন সম্পাদক পদে একমাত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও কল্যাণ সম্পাদক পদে তানভীর আহমেদ ৬৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর কিরণ পেয়েছেন ৬২৫ ভোট।

অন্যদিকে, কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন নয়জন। এর মধ্যে এক নম্বর সদস্য হয়েছেন মনিরুল ইসলাম মিল্লাত (মনির মিল্লাত)। তিনি পেয়েছেন ৯৩০ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন ইসমাঈল হোসাইন রাসেল ৭৭২ ভোট এবং তৃতীয় মহসিন বেপারী ৭৫১ ভোট। অন্য সদস্যরা যথাক্রমে মোজাম্মেল হক তুহিন ৬৮৩ ভোট, কিরণ সেখ ৬৭২, এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন) ৬৪৮ ভোট এবং মো. ইব্রাহিম আলী ৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৪৪ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৪৫৭ জন।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম