এ বছরের ডেঙ্গু অভিজ্ঞতা ব্যতিক্রম: তাজুল ইসলাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অন্যান্য বছর বৃষ্টি শেষে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এ বছরের অভিজ্ঞতা ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তাই কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের গবেষণাপত্র পর্যালচনা করা ও বাংলাদেশি কীটতত্ত্ববিদদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রী ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বানও জানান। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ইউ এস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (ইউ এস সিডিসি) মাধ্যমে যৌথভাবে আয়োজিত ‘মেয়র সংলাপ: নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারের এ তথ্য জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের অংশগ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সকলের আরও সচেতন হতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সরকার সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে। স্বাস্থ্য খাতে সেবার মান আরও উন্নত করতে হবে। নগর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি দেশব্যাপী আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যকরী করে গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম। এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ইউ এস সিডিসি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুসান কায়ডোস ডেনিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম