November 24, 2022 | 11:22 am
ফিচার ডেস্ক
বিশ্বকাপ ২০০৬ ফাইনালের পরিসংখ্যান…
ইউরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ।
আট কোয়ার্টার-ফাইনালিস্টের ছয়টি দেশই ইউরোপের। সেমি-ফাইনালের চারটি দলই তাদের।
আর কি বলে দিতে হবে, ফাইনালও খেলেছিল ইউরোপের দুটি দেশ!
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ যেন পরিণত হয়েছিল আরেকটি ইউরোয়।
সেখানে ফ্রান্সকে হারিয়ে দুই যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে
নিজেদের চতুর্থ শিরোপা জেতে ইতালি।
পরিণত হয় বিশ্বকাপে ইউরোপের সফলতম দলে।
তবে এই সব কিছু ছাপিয়ে দুই হাজার ছয়ের বিশ্বকাপে
আইকনিক ট্রেডমার্ক হয়ে উঠেছিল জিদানের ঢুস!
চোখ বন্ধ করে ২০০৬ বিশ্বকাপের কোন স্মৃতি মনে করতে চাইলে
চোখের সামনে ইতালীর শিরোপাজয়ের আনন্দের চেয়ে বেশী
স্পষ্টভাবে ভেসে উঠবে ফাইনাল ম্যাচে জিনেদিন জিদানের নাটকীয় বিদায়।
মার্কো মাতেরাজ্জির বুকে ষাঁড়ের মতো হঠাৎ ঢুস মেরে বসার অংকের উত্তর
এখনো খুঁজে বেড়ান অনেকেই।
সেই ঘটনাটা না ঘটলে হয়তো ইতিহাস আজ লেখা থাকতো অন্যভাবে।
দুই হাজার ছয়ের বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ছিল স্বাগতিক জার্মানি।
সবাই ধরে নিয়েছিল ১৯৭৪ সালের মতো
স্বাগতিক দেশে হিসেবে এবারও শিরোপা জিতবে জার্মানি।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে দলটি সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়।
ফাইনালে উঠেছিল ফ্রান্স ও ইতালি।
শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইটি ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর।
সপ্তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন জিদান।
১৯তম মিনিটে সমতা ফেরান মার্কো মাতেরাজ্জি।
ম্যাচের বাকি সময়ে হয়নি কোনো গোল।
অতিরিক্ত সময়ে তখনকার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়
জিদানকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে প্রবল চাপে পড়ে ফ্রান্স।
শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়েও খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকে।
শিরোপা নির্ধারণের জন্য খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেখানে ফ্রান্সকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে
২৪ বছরের মধ্যে প্রথম ও সব মিলিয়ে চতুর্থ শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে ইতালি।
জার্মানির জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা এই আসরে সর্বোচ্চ ৫টি গোল করেন।
তবে ঢুসকান্ডের পরও এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে
গোল্ডেন বল জেতেন জিদানই।
ছবি: ফিফা ও গোল ডট কম
বিশ্বকাপ নিয়ে আরও পড়ুন—
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি