December 7, 2022 | 5:36 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যেই বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসার পর ভেতরে ঢুকতে না পেরে সেখানে বসে পড়েন তিনি। এর আগে কার্যালয়ের গেটের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিভিন্ন জায়গায় ফোনে কথা বলেন তিনি।
কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সমাবেশ বানচাল করার জন্য নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে পুলিশ নেতাকর্মীদের হামলা করেছে। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। ১০ ডিসেম্বর আমরা সমাবেশ করবই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। এ ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে। আমি আমার দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে কার্যালয়ের সামনে মাটিতে বসে থাকা অবস্থায় সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি অবিলম্বে বিএনপির কার্ যালয়ের সামনে থেকে পুলশি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর যে ঘটনা ঘটবে, দেশের যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তার সকল দায়-দায়িত্ব এই সরকারকে নিতে হবে।
বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপরই নয়াপল্টন থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করতে চাইছে না বিএনপি।
এদিকে, ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ পরিদর্শক হায়াতুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ডিডিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সারাবাংলা/এজেড/ ইএইচটি/ এনইউ