বিজ্ঞাপন

‘গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা ‘চার্টার অব ডিমান্ড’ ঘোষণা করা হবে’

December 9, 2022 | 8:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গোলাপবাগের গণসমাবেশ থকে সরকার পতনে ১০ দফা ‘চার্টার অব ডিমান্ড’ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

গোলাপবাগে মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ’১০ ডিসেম্বর এই সরকারের বিদায়ের জন্য কতগুলো চার্টার অব ডিমান্ড বা দফা আমরা ঘোষণা করব। আমাদের সাথে যারা যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত- ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, যুগপৎভাবে আমরা যে ১০ দফা প্রণয়ন করেছি, সেটা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঘোষণা করবেন। ভবিষ্যতে এই দাবিগুলো আদায়ে যুগপৎভাবে আন্দোলন আসবেন।’

“আমি আপনাদের (মিডিয়া) মাধ্যমে আমাদের সকল নেতাকর্মী, সমর্থকদের আহ্বান জানাতে চাই, আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে গোলাপবাগের মাঠে গণসমাবেশে উপস্থিত হবেন। ঢাকাবাসীর প্রতি আমাদের আহ্বান এই যে, স্বৈরাচারী গায়ের জোরের সরকার- ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে অপচেষ্টা করছে, তার প্রতিবাদ জানাতে আপনারা সমাবেশে দলে দলে যোগ দিন’— বলেন ড. মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ৯টি বিভাগে জনসভা করেছি। সরকারের সকল বাধা উপেক্ষা করে এসব জনসভায় জনতার ঢল নেমেছে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে সরকারের এতো ষড়যন্ত্র, গ্রেপ্তার-মামলার পরও ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে জনতার ঢল নামবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

ঢাকার সমাবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে সরকার শুরু থেকেই ‘গড়িমসি’ করেছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের সম্মতি চেয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তা নিয়ে সরকার গড়িমসি করে। আমরা না চাওয়া সত্ত্বেও তারা অযাচিতভাবে ও স্বপ্রণোদিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৬ শর্তে গণসমাবেশের যে সম্মতি দিয়েছিল তা অনিবার্য ও যুক্তিসঙ্গত কারণে আমরা প্রত্যাখান করি। অতঃপর আলোচনার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো উপযুক্ত স্থানে সভার অনুমতি দেওয়ার যে অনুরোধ জানিয়েছি, তাতে তারা সায় দিতে গড়িমসি করেছে।’

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-গুলিবর্ষণ, মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরুদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জহির উদ্দিন স্বপন, কায়সার কামাল, নাজিম উদ্দিন আলম, নিলোফার চৌধুরী মনি, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

সারাবাংলা/ এজেড/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন