বিজ্ঞাপন

গোলাপবাগে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু, মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতারা

December 10, 2022 | 11:27 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলে ১০টার দিকে সমাবেশটি শুরু হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন। এখন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সভা পরিচালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের অসংখ্য ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ডিসেম্বর মাসে আমাদের পার্টি অফিসে পুলিশি হামলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আগামীদিনে আরও বড় জনসমাবেশ করা হবে। কোটি মানুষের সমাবেশ করে শেখ হাসিনার সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হবে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ বাহনীকেও উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইশরাক। তিনি বলেন, যারা আমার ভাইকে খুন করেছে তারা পুলিশের পোশাক পড়ার অধিকার রাখে না।

পুলিশের লিখিত অনুমোদন পাওয়ার পর শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টনে গণসমাবেশ করার অনুমোদন না পাওয়ায় বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম। স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে পুলিশ জানিয়েছিল, সেখানে সমাবেশ করার জন্য অনুকুল পরিবেশ নেই। পরবর্তীতে আমরা মৌখিকভাবে গোপালবাগ মাঠ চেয়েছিলাম।’

‘আজ আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামলাকে লিখিত চিঠিসহ ডিএমপিতে পাঠিয়েছিলাম। আমাদের চিঠির প্রেক্ষিতে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ লিখিতভাবে আমাদেরকে গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমোদনের কথা জানিয়েছে। আমরা সেখানেই ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করব। আগামীকাল সকাল ১১ টায় আমাদের গণসমাবেশ শুরু হবে। অন্য ৯টি সমাবেশের মতো কালকের সমাবেশও শান্তিপূর্ণ হবে। সমাবেশ সফল করার জন্য ঢাকাবাসী এবং বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের অনুরোধ জানাচ্ছি’- বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

‘সমাবেশ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা মির্জা আব্বাস এবং সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে রেখে বিএনপির সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত ঠিক হচ্ছে কিনা’- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটা বিএনপির সমাবেশ নয়, জনগণের সমাবেশ। আমাদের মধ্যে যদি দুয়েকজন না থাকে, তাতেও সমাবেশ সফল হবে। জনগণের সমাবেশ জনগণই সফল করবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতে কাউকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা এবং আগামী কালের সমাবেশে প্রধান অতিথির কে থাকছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সমাবেশস্থলে আসলেই আপনার সব কিছু দেখতে পারবেন সব কিছু বুঝতে পারবেন।

একই প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সমাবেশ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা মির্জা আব্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজকে আমরা সামনের সারিতে যারা বসে আছি, কাল হয়তো এদের অনেকেই গ্রেফতার হয়ে যাব। তারপরও জনগণের সমাবেশ জনগণই সফল করবে।’

সমাবেশ থেকে কী ধরনের মেসেজ জাতির জন্য দেওয়া হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সব কথা যদি আজ এখানে বলে দেই, তাহলে কাল সমাবেশে কী বলব। সমাবেশে আসুন, সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে আমরা এই নিশ্চয়তা প্রদান করছি যে, আমাদের অন্য সমাবেশগুলোর মতো কালকের সমাবেশও সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে। এই সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিন্দুমাত্র অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরুদ্দীন সরকার, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নাজিম উদ্দীন আলম, জহির উদ্দীন স্বপন, নীলোফার চৌধুরী মণি, সোহরাব উদ্দীন প্রমুখ।

সারাবাংলা/ এজেড/ইএইচটি/এনইউ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন