বিজ্ঞাপন

এক বছরে ৪৯২ নারী ও ৯৩৩ শিশু নির্যাতন: এমএসএফ

December 31, 2022 | 11:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে ২০২২ সালে ৪৯২ নারী ও ৯৩৩ জন শিশু ও কিশোরী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক জরিপে এ তথ্য উঠে আসে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বছরব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি জরিপে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমএসএফ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৪৯২টি নারী যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ২৫৩টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৭ জন নারী, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১৩ জন নারী, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১ জন নারী, ধষর্ণের চেষ্টা করা হয়েছে ৯২ জন নারীকে ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪৮ জন নারী। এছাড়াও প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন নারী।

অপরদিকে ২০২২ সালে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনে ৩৭৪ জন, ৭৮ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ ৬২২ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। আত্মহত্যা করেছেন ৫৭১ জন নারী। অপহরণ করা হয়েছে ১০ জন নারীকে, নিখোঁজ রয়েছেন ২৩ জন নারী। নারী প্রতি সহিংসতার শিকারে রয়েছেন ১১ জন প্রতিবন্ধী নারী। গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত জটিলতা ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে।

শিশুর প্রতি সহিংসতা

বিজ্ঞাপন

এমএসএফ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৯৩৩টি শিশু ও কিশোরী যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ৫৪২ জন শিশু ও কিশোরী ধর্ষণ এবং ৮১ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণ ও হত্যার করা হয়েছে ২০ জন শিশুকে, ৪১ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪৩ জন শিশু কিশোরী ও ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৪৭ জন শিশু কিশোরী।অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন শিশু কিশোরী।

অপরদিকে ২০২২ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনে ৩১৬ জন, ৩৭ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ ২৮৮ জন শিশু কিশোরী হত্যার শিকার হয়েছেন। আত্মহত্যা করেছেন ৩১৭ জন শিশু। অপহরণ করা হয়েছে ৪৯ জন শিশুকে, নিখোঁজ রয়েছেন ৬৫ জন শিশু। শিশুদের প্রতি সহিংসতার শিকারে রয়েছেন ১০ জন প্রতিবন্ধী শিশুও।

২০২২ সালে দেশের বিভিন্নস্থানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩১ জন জীবিত ও ৬৫ জন মৃত, মোট ৯৬ জন নবজাতক শিশুকে পাওয়া গেছে, যা অমানবিক ও নিন্দনীয়। এ শিশুদেরকে কি কারণে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিরূপণের চেষ্টা করছে না বলেও জানায় এমএসএফ।

বিজ্ঞাপন

এমএসএফ বলছে, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতারোধে দেশে যথেষ্ট কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও নারীর প্রতি অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা লক্ষণীয় না থাকার কারণে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় সরকারের তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় ২০২২ সালে দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা যেমন- ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত বছরের তুলনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেড়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

সারাবাংলা/আরএফ/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন