বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা সভা ও তিন নাটকের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট

সহিদ রহমানের ‘মহামানবের দেশে’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে তিনটি নাটক—‘ক্যাপ্টেন কামাল’, ‘সেই রাত্রির রক্তস্রোত’ ও ‘রিন্টুর না ফেরা’। নাটক তিনটির প্রিমিয়ার শো ও ‘রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘পঁচাত্তরের প্রতিরোধ যোদ্ধা স্মৃতি সংসদ’-এর আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ রায়, বিজেপির সহ-আহ্বায়ক অর্থনীতি প্রকষ্ঠ ড. পঙ্কজ কুমার রায়, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভঙ্কর সরকার, কলকাতা পৌর সংস্থার সাবেক মেয়ার সচ্চিদানন্দ ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সঞ্চালনা করেন মজুমদার জুয়েল ও আফরোজা কণা।

প্রিমিয়ার হওয়া ‘ক্যাপ্টেন কামাল’ নির্মিত হয়েছে পঁচাত্তরের কালরাত্রিতে প্রথম শহীদ বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালকে নিয়ে। শ্যামল শিশিরের নাট্যরূপে এটি নির্মাণ করেছেন শামীম আহমেদ রনী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফ সিরাজ, তানিয়া বৃষ্টি, সাদিয়া আয়মান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শাহেদ আলী সুজন ও মাজনুন মিজান।

‘সেই রাত্রির রক্তস্রোত’ নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর পিএস তোফায়েল আহমেদের এপিএস শফিকুল আলম মিন্টুকে। ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকে ধরে নিয়ে যায় খুনীরা। এরপর থেকে আর তার কোনো হদিস পাওয়া যায় নি। এটি পরিচালনা করেছেন অঞ্জন আইচ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহসান হাবিব নাসিম, তারিন জাহান, মাজনুন মিজান, সুষমা সরকার ও শাহজাহান সম্রাট।

একজন ব্যান্ড সংগীতশিল্পী রিন্টুকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘রিন্টুর না ফেরা’। সাইয়েদ আহমাদের নাট্যরূপে এটি নির্মাণ করেছেন অঞ্জন আইচ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম, ফারজানা ছবি, জিয়াউল হাসান কিসলু, মোহাম্মদ বারী, খলিলুল রহমান কাদেরী, শিবলী নোমান, স্বর্ণলতা।

অনুষ্ঠানের শুরু করা হয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জালনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে বক্তরা নানাভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন। ভারত থেকে আগত রাজনীতিবিদরা তাকে একজন মহান নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। একই সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতের জনগণের অবদানের কথা স্মরণ করেন তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন থেকে যখন দেশে বঙ্গমাতার সঙ্গে কথা বলেন তখন সবার প্রথমে মুন্সিগঞ্জের এ জালালের কথা জিজ্ঞেস করেছিলেন। তিনি আমাদেরকে এতটাই ভালোবাসতেন।

অধ্যাপক আরেফিন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী আজীবন টিকে থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণিকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘বিন্দু থেকে বৃত্ত’-এর পোস্টার উন্মোচন করা হয়।

সারাবাংলা/এজেডএস