বিজ্ঞাপন

ভারতীয় হাইকমিশনের বৃত্তি পেল আরও ৩০১ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

May 3, 2018 | 8:59 pm

|| ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ||

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: ঢাকা অঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ৩০১ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বৃত্তি দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় ঢাকা অঞ্চলের শিক্ষার্থীদেরকে এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বরিশাল, খুলনা, সিলেট, রংপুর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাও পর্যায়ক্রমে এই বৃত্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে চেক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ভারতীয় হাইকমিশন ও মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির সভাপতি আবুল আসাদ।

বিজ্ঞাপন

শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং উত্তরীয় পরানো হয়। পরে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ঋষিজ শিল্পগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ভারতের কাছে আমরা জাতি হিসেবে কৃতজ্ঞ। তারা স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে না দাঁড়ালে ৯ মাসে যুদ্ধ শেষ করতে পারতাম না। ভারত শুধু আমাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেনি, তারা আমাদের চিরদিনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এই সম্পর্ক চিরস্থায়ী।’

বিজ্ঞাপন

ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপি বাংলাদেশকে নতুন পাকিস্তান বানিয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বিএনপি দাসত্বের সম্পর্ক করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমরা গঙ্গার পানি চুক্তি করেছি এবং আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা পেয়েছি। আমরা আশাবাদী, অল্প সময়ের মধ্যে তিস্তার ন্যায্য হিস্যাও পেয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীর বিগত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুক্তিযুদ্ধাদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। শিগগিরিই মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাার জন্য ভারতে পাঠানো হবে।’

ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বীর যোদ্ধা ও ভারতের সেনারা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। এটি ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’ চিকিৎসা দিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্বাচিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সহজ ভিসা প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে ভারতে পাঠানো হবে।

সারাবাংলা/টিআর/এমআইএস

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন