আমার পকেটে ২ কোটি ভোট— সংসদে রহমতুল্লাহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসায়ী উল্লেখ করে তার পকেটে দুই কোটি ভোট আছে বলে দাবি করেছেন সরকারর দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ। ঢাকা-১১ আসনের এই এমপি বলেন, আমার পকেটে দুই কোটি ভোট। সারা বাংলাদেশে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট। আহলে হাদিসের প্রায় ৩০জন এমপি আছেন। অনেকে পরিচয় দেন না।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজেকে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোটের চিফ অ্যাডভাইজার দাবি করে রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে সভাপতি করতে চেয়েছিল। আমার অফিসে বসে আমি কমিটি বানিয়ে দিই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। এরা কোনোদিন জামাত করে না। আমি যেদিকে যাব আহলে হাদিসের অনুসারীরা সেদিকে থাকবে।’

একটি পত্রিকার প্রতিবেদন উল্লেখ করে সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন ১/১১-এর পরে কারা পালিয়েছিল মানুষ জানে। ফখরুল সাহেব তুমি তো ধাক্কা দিয়ে মানষকে ফেলে দিতে চাও।’

তিনি বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের সময় আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছেন। আমি ইতালি থেকে লন্ডনে আসি। রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আমাকে খবর পাঠিয়ে ডেকে বললেন, ‘রহমতুল্লাহ, ঢাকায় তো মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) নাই, আজম (মির্জা আজম), নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) নাই। আপনি না গেলে সাহারা কি কোন লোক জোগাড় করতে পারব? তখন আমি দেশে চলে আসি।’

সরকার দলীয় এই এমপি বলেন, ‘যেহেতু আমি অনেস্ট লোক। এলাকার সব রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। উন্নয়ন করেছি। আমি এসে ক্যামনে ক্যামনে দুই লাখ লোক জোগাড় করে ফেললাম। তারপর আপাকে রিসিপশন দিলাম। আপা বললেন এত লোক কেমনে জোগাড় করলেন। আমি বলেছিলাম আমি পারি।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন আপনাকে মিনিস্টার করলেন না কেন? আমাকে মেয়র সেধেছেন। মিনিস্টার করতে চেয়েছেন।’

এক পর্যায়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনার পয়েন্ট অব অর্ডারটা কী?’ কিন্তু তিনি সেটার জবাব না দিয়ে বলেন, ‘একটি দৈনিকে ফখরুল বলেছেন, ১/১১ পর কারা পালিয়েছিল, মানুষ জানে। এটা মিন করছে আমাদের। আমি পেপারটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। আপনি পড়লে বুঝতে পারবেন।’ এর পর তিনি বক্তব্য শেষ করে বসে পড়েন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম