February 3, 2023 | 8:41 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ে বেড়ানো বেলুনটি চীনের বলে স্বীকার করেছে বেইজিং। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি প্রধানত আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়।
বেলুনটি আমেরিকার আকাশে চলে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বেইজিং। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় বেলুনের অনিচ্ছাকৃত প্রবেশের জন্য অনুতপ্ত চীন। এটি অনাখাঙ্খিত বাতাসের প্রভাবে উড়ে আমেরিকার আকাশে পৌঁছেছে বলেও দাবি বেইজিংয়ের।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার মন্টানা অঙ্গরাজ্যের বিলিংস শহরের উপরে বেলুনটি উড়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। এর আগে বেলুনটি আলাস্কার অ্যালেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং কানাডার উপর উড়ছিল। উল্লেখ্য, মন্টানাতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি পারমাণবিক মিসাইল সাইলো রয়েছে। বেলুনটি আমেরিকার উপর গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছে বলে দাবি পেন্টাগন কর্মকর্তাদের।
বৃহস্পতিবার পেন্টাগন আকাশে উড়ন্ত বেলুনটি চীনের নজরদারি বেলুন বলে জানায়। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বেলুনটি ধ্বংস করতে যুদ্ধবিমান প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামরিক পরামর্শদাতারা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে বেলুনটি গুলি করে ধ্বংসের বিপক্ষে পরামর্শ দেন। তাদের আশঙ্কা, মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উপর উড়া বেলুনটিতে গুলি করলে এর ধ্বংসাবশেষ পড়ে ক্ষতি হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সমর বিশারদদের এমন পরামর্শ মেনে নিয়েছেন বাইডেন।
বেলুনটি এখনও আমেরিকার আকাশে উড়ছে। বিশাল আকারের বেলুনটিকে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। একাধিক যুদ্ধবিমান বেলুনটির আশেপাশে ভ্রমণ করে তথ্য সংগ্রহ করছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি কূটনৈতিক চ্যানেলে চীনের কাছে উত্থাপন করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি ব্লিনকেনের সম্ভাব্য চীন সফরের আগে এমন ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন তারা।
শুক্রবার প্রথমে চীনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, বেলুনটি সম্পর্কে প্রতিবেদনগুলো যাচাই করছে তারা। পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বেলুনটি তাদের বলে স্বীকার করে। তবে এটি কোনো গোয়েন্দা নজরদারি নয়, বরং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে আকাশে উড়ানো হয়েছিল বলেও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
সারাবাংলা/আইই