বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন: স্পিকার

February 3, 2023 | 9:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন। এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি পঞ্চম মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি এমন মন্তব্য করেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আয়োজিত আইনজীবী সহকারী সমিতির ৫ম মহা সম্মেলনে উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আইনজীবী এবং আইনজীবী সহকারীগণ সামাজিক প্রকৌশলী বা সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারের ভূমিকা পালন করেন। বিজ্ঞ আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এবং সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখেন। তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকেন আইনজীবী সহকারীবৃন্দ। মানুষের জীবনের পরিবর্তন আনতে এবং মানবসেবায় আইনজীবীদের পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ এবং রপ্ত করে নিজেদের প্রস্তুত করতে হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময় বিশ্বব্যাপী এমন নাগরিকদের সামনে এগিয়ে আনা প্রয়োজন। যারা অন্যের অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল এবং যারা শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সচেষ্ট।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন। এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার আরও বলেন, ‘বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শোষণ, বৈষম্য ও বঞ্চনামুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে কোনো মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, ধনী গরিবের কোনো বৈষম্য থাকবে না, জনগণ অত্যন্ত কম খরচ ও অল্প সময়ের মধ্যে বিচার লাভ করবে। জাতির পিতা সংবিধানে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন যেখানে সুপ্রিমকোর্ট এবং অধস্তন আদালতসমূহ নিজ নিজ এখতিয়ার ও সীমার মধ্যে স্বাধীনভাবে আইন অনুসারে বিচারকাজ পরিচালনা করবে।’

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত করেছিলেন। নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে রয়েছে। সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শ ও দর্শনেরই প্রতিফলন। তাই সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সকলকেই আত্মনিয়োগ করতে হবে।’

আইনের শাসন সমন্বিত রেখে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন। দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে সংবিধানের সুফল সাবর ঘরে পৌঁছে দিতে পারলেই এ সংবিধান অর্থবহ হয়ে উঠবে।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রেখে একটি সুখি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। সেখানে আমাদের সকলকেই একসঙ্গে অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা বিচার বিভাগকেও সংযুক্ত থাকতে হবে। সংবিধানের আলোকে আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের পারষ্পারিক সমন্বয় ও কার্যকর ভূমিকার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের অব্যাহতযাত্রা সুনিশ্চিত হবে, আইনের শাসন সমুন্নত হবে এবং দারিদ্র, শোষণমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’

সম্মেলনে আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি নুর মিয়ার সভাপতিত্বে সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, সাবেক সম্পাদক বশির আহমেদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন