বিজ্ঞাপন

পুলিশের অভিযানে আসামির মৃত্যু

February 3, 2023 | 9:57 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে গরু চুরির মামলায় আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান চলাকালে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এসময় স্থানীয়দের ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পশ্চিম শহীদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মো. নাছির উদ্দিন (৫৫) পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে। ফটিকছড়ি থানার একটি গরু চুরি মামলায় গ্রেফতার হওয়াদের জবানবন্দিতে তার নাম আসায় চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে ধরতে অভিযানে যায়।

জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি ফেরদৌস জাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফটিকছড়ি থানায় গরু চুরির মামলায় নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে শহীদ নগরে অভিযানে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এসময় আসামি নাছির অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে পুলিশ বাসায় অভিযানে গেলেও তাদের কাছে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল না অভিযোগ করে মৃত নাছির উদ্দীনের ছেলে ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘মধ্যরাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের বাসায় যায়। ওই সময় বাসায় তার বাবা ছাড়া অন্য কোনো পুরুষ ছিলেন না। পুলিশ বাসায় অভিযানে গেলেও তাদের কাছে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল না। রাতে বাসায় পুলিশ যাওয়ার পর আমার বাবা তাদের সঙ্গে কথা বলেন, পরে খবর পেয়ে আমিও বাসায় যাই। তাদের কাছ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দেয়নি।’

কয়েক বছর আগে নাছির উদ্দিনের হার্টে রিং পরানো হয়েছিল জানিয়ে ইফতেকার বলেন,‘পুলিশের অবস্থা দেখে আমার বাবা অসুস্থবোধ করেন। এসময় তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফটিকছড়ি থানার গরু চুরির একটি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নাছিরের নাম এসেছিল। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাত দেড়টার দিকে নাছির বাসায় অভিযানে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে নাছিরের কথাও হয়েছে। কিন্তু পুলিশ চলে আসার সময় স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তবে পরে জানতে পারি আসামি নাছির হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে পরোয়ানা না থাকার বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ বলেন, ‘আসামির জবানবন্দিতে কারও নাম আসলে সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশ যে কাউকে আটক করতে পারে। মামলায় গ্রেফতার আসামিদের জবানবন্দিতে নাছিরের নাম এসেছে । বিষয়টি আমরা যাচাই বাছাই করে সম্পৃক্ত থাকার সত্যতা পেয়েছি।’

সারাবাংলা/আইসি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন