বিজ্ঞাপন

তাঁতপণ্যের মানোন্নয়নে জোর দিতে হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

March 14, 2023 | 2:46 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, দেশের ক্ষুদ্র তাঁতিদের তাঁতজাত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, পণ্য বহুমুখীকরণ, বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে তাঁতশিল্পের বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মার্কেট প্রমোশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল মো. জাকির হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে তাঁতজাত পণ্যের প্রসারে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবনের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একদিকে যেমন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে, তেমনি সিবিসির মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্পমূল্যে তাঁতপণ্যের মানোন্নয়নে কাজ করছে। এছাড়াও তাঁতশিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের তাঁতশিল্পের আধুনিকায়নের বিভিন্ন কার্যকরী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তাঁতিদের উন্নয়নকল্পে এ ভবন নির্মাণ হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় দেশের তাঁতিরা কষ্টে আছে। তাদের উন্নয়নে তাঁত বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে। লালফিতায় যেন তাঁতিদের উন্নয়ন আটকে না যায় এ বিষয়ে বিশেষ সর্তক থাকতে হবে। তাঁতিদের সহযোগিতা করলে তারা জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখতে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার তাঁত ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রফতানি বৃদ্ধিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁতপণ্যের এ প্রমোশন সেন্টারকে তাঁতিদের উন্নয়নে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এখানে ৭তলা বিশিষ্ট ভবনে ৬০টি স্থায়ী স্টল থাকবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব তাঁতিরা এখানে সারাবছর মেলায় অংশ নিতে পারবে। আমি আশা করি, তাঁতিদের আশা পূরণে ১ বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ হবে।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন