বিজ্ঞাপন

চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অতীত গৌরবোজ্জ্বল, ভবিষ্যত কেমন হবে?

March 18, 2023 | 10:36 pm

নাবীল আল জাহান

চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয় দুই ফরাসি ভাইয়ের হাত ধরে। লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়। বিশের দশকে সেই ফ্রান্সেই শুরু হয় চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন। অনেকে প্রথম চলচ্চিত্র সংসদের স্বীকৃতি দেন ‘সিনে ক্লাব দঁ ফ্রান্স’কে। ১৯২২ সালে গঠিত হয় ফরাসি নারী চিত্রনির্মাতা জার্মেন ডুলাক-এর উদ্যোগে। আবার অনেকে সে স্বীকৃতি দেন ১৯২৫ সালে লন্ডনে গঠিত ‘দ্য ফিল্ম সোসাইটি’কে। তবে এটা সত্যি যে, শিল্পিত চলচ্চিত্রের জন্য লড়াইটা শুরু হয়েছিল ইউরোপেই। সেই আন্দোলনের ছেয়া ভারতীয় উপমহাদেশে এসে লাগে চল্লিশের দশকে।

বিজ্ঞাপন

১৯৪০ সালে মুম্বাইয়ের পরে কলকাতায় ফিল্ম সোসাইটি গঠিত হয় ১৯৪৭ সালে। নেতৃত্বে ছিলেন সত্যজিৎ রায়, তার প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তির বছর আটেক আগে। কলকাতার আরেক মায়েস্ত্রো পরিচালক মৃণাল সেনও উঠে এসেছিলেন এই সংসদের হাত ধরেই।

ঢাকায় এই আন্দোলনের ঢেউ এসে লাগে আরও দেড় দশক পর। ১৯৬৩ সালের ২৫ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’। উদ্যোগে ছিলেন ওয়াহিদুল হক, আনোয়ারুল হক খান, মুহম্মদ খসরুরা। অবশ্য এরও মাস কয়েক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গঠন করেছিল ‘স্টুডেন্ট ফিল্ম সোসাইটি’। কিন্তু সে উদ্যোগ সেভাবে কার্যকর হয়নি। ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’ বলতে গেলে একাই পাকিস্তান আমলে আন্দোলনকে টেনে নেয়। স্বাধীনতার পরে এই সংসদের নাম বদলে হয় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ’, সংক্ষেপে বিএফএস। স্বাধীনতার আগে আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘ঢাকা সিনে ক্লাব’। স্বাধীনতার পরপর গড়ে ওঠে অসংখ্য সংসদ।

১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর এক ডজনেরও বেশি সংসদ নিয়ে গঠিত হয় এই সংগঠনগুলোর ফেডারেটিভ বডি। নেতৃত্বে ছিলেন আলমগীর কবির। তখনকার ‘বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ’-ই নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখনকার ‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ’ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, এবছর দেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ছয় দশকপূর্তি হতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে আন্দোলনের এই ফেডারেটিভ বডিরও পূর্ণ হতে যাচ্ছে পঞ্চাশ বছর।

বিজ্ঞাপন

এই দীর্ঘ পথচলাতেও কি এই আন্দোলন গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে? উত্তর হতে পারে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ দু’টোই। কারণ, অন্তত বাংলাদেশে এই আন্দোলনের সাফল্য নিতান্ত কম নয় এবং সেগুলোর কোনোটিই জনবিচ্ছিন্ন নয়। বরং সব ফসলই পৌঁছেছে মানুষের কাছে। আবার উল্টোটাও সত্য। সাধারণ মানুষ তো নয়ই, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেক মানুষও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন সম্পর্কে অবহিত নয়। তারা জানেন না, কী এই আন্দোলনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি। সমস্যা হলো, এই আন্দোলনের প্রকরণই এমন। তা প্রচারণা নয়, মনোযোগী আন্দোলনের অংশীদের মননগত উৎকর্ষ সাধনে।

যেমনটা বলেছিলেন চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের শুরুর দিককার অন্যতম অগ্রপথিক মাহবুব জামিল, ‘[চলচ্চিত্র সংসদ] আন্দোলনকে সার্থক করার জন্য আমাদের পথ ও পন্থা হচ্ছে সংসদ সদস্যদের জন্য বিদেশি শিল্প ও নিরীক্ষামূলক ছবির প্রদর্শন, চলচ্চিত্র সংক্রান্ত আলোচনা সভা, পত্রিকা পুস্তক প্রকাশনা, সেমিনার, শিক্ষামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ, তরুণদের সুস্থ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহ সৃষ্টি করা ইত্যাদি। কাউকেই আমরা গলা ধাক্কা দিয়ে বলছি না এমন করুন অথবা এমন করবেন না। বরং আন্দোলনের কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিতভাবে একজন সদস্য পৌঁছে যাক ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে। একজন সদস্য সংসদের কর্মকাণ্ডের মধ্য থেকে নিজের অজান্তে নিজের মননকে পরিশীলিত, পরিমার্জিত ও শিক্ষিত করে তুলুক। ফলে সেই সদস্য, সহজে কুরুচিপূর্ণ দেশি বা বিদেশি ছবি দেখতে পারবে না, ছবি নির্মাণে কোনোদিন এগিয়ে গেলে মনের তাগিদে মনোনিবেশ করবে নির্মল ছবি অথবা শিল্প ছবি কিংবা নিরীক্ষামূলক ছবি তৈরির জন্য। ফলে আমরা বিশ্বাস করি এক একজন সুস্থ দর্শকই আমাদের সংসদ আন্দোলনের এক একজন অস্ত্রহীন সৈনিক। অস্ত্র নেই তার কাছে। কিন্তু আছে পরিমার্জিত একটি শিল্পীমন। দেশব্যাপী যদি অসংখ্য, অগুণন এমনি সৈনিক পাওয়া যায় তাহলেই আন্দোলনের সার্থকতা।’

এই উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র সংসদগুলোর বড় হাতিয়ার ছিল সদস্যদের শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র দেখানো। আগে চলচ্চিত্র এখনকার মতো সহজলভ্য ছিল না। চাইলেই যে কেউ পছন্দমাফিক ছবি দেখতে পারতেন না। কী দেখবেন তা মূলত নির্ধারণ করতেন ব্যবসায়ীরা। সঙ্গত কারণেই তারা শিল্পমান বা জনরুচির উৎকর্ষে মনোযোগী ছিল না। তাদের সকল আগ্রহ নিবদ্ধ থাকত মুনাফায়। বিপরীতে চলচ্চিত্র সংসদগুলো আয়োজন করত শিল্পসম্মত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। পাশাপাশি মনোযোগ দিয়েছিল এই ধারায় বিশ্বাসী নির্মাতা ও কুশলী গোষ্ঠী নির্মাণেও।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল দেশের প্রথম ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স। পরিচালনা করেছিলেন পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সতীশ বাহাদুর। সেসময় সংসদের অনুরোধক্রমে একটি ফিল্ম আর্কাইভের কাঠামো প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী ১৯৭৮ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। সেটাও অবশ্য সরকার করেছিল চলচ্চিত্র সংসদগুলোর অব্যাহত চাপের কারণে।

চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মুহম্মদ খসরু

সেই সত্তরের দশক ছিল চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সোনালি সময়। এরপর এই আন্দোলনের ওপর খড়্গ হয়ে আসে ‘চলচ্চিত্র সংসদ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮০’। চলচ্চিত্র সংসদগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় নানা নিয়মের নিগড়। ফলে অনেক সংসদই অকার্যকর হয়ে পড়ে। অনেকগুলো বন্ধই হয়ে যায়। তবে একেবারে থমকে যায়নি আন্দোলন। বরাবরই চলচ্চিত্র সংসদকর্মীরা সমালোচনামুখর ছিলেন চলচ্চিত্রের স্থূলরুচির বাণিজ্যিক ঘরানার বিরুদ্ধে। বাণিজ্যের শক্তিতে কালক্রমে দেশে দেশে সেগুলোই হয়ে ওঠে মূলধারার চলচ্চিত্র।

লুই বুনুয়েলের ভাষায়, ‘চলচ্চিত্র সাদা পর্দায় পারত বিপ্লবের আগুন ছড়াতে। কিন্তু আমরা তাকে বেশ করে আফিম খাইয়ে, শেকল পরিয়ে রেখেছি।’ মায়াকোভস্কি কাব্য করে বলেন, ‘চলচ্চিত্র অসুস্থ। পুঁজিবাদ এর চোখে সোনার গুঁড়ো মাখিয়ে রেখেছে।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রও এর ব্যতিক্রম ছিল না। শুরুর কয়েক বছর অবশ্য প্রবণতা ছিল বিপরীতমুখী। প্রচণ্ড ইতিবাচক। কিন্তু দ্রুতই তা বদলে যায়। রাজত্ব করতে থাকে হিন্দি-উর্দু চলচ্চিত্রের গন্ধমাখা স্থূলরুচির বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র। তা নিয়ে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মুহম্মদ খসরু লেখেন, ‘চলচ্চিত্রের অধঃপতনটা আমাদের চেতনাকে গভীরতরভাবে নাড়া দেয়ার প্রধান কারণ হলো একটি দৃশ্যবাহী শিল্পমাধ্যম হিসেবে চলচ্চিত্র সঙ্গত কারণেই আমাদের দৃশ্য ইন্দ্রিয়ে সরাসরি অভিঘাত সৃষ্টি করে। উপরন্তু চলচ্চিত্র সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যমও বটে। চলচ্চিত্রকে তুলনা করা চলে এটমের সঙ্গে। ধ্বংস এবং সৃষ্টি উভয় কাজে এটমের শক্তির যেমন তুলনা হয় না অনুরূপভাবে চলচ্চিত্রও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ধ্বংস ও সৃষ্টির কাজে সমান শক্তিশালী।’

বিজ্ঞাপন

এর বিপরীতে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের হাতিয়ার ছিল শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র। জঁ-লুক গদারের ভাষায়, যে সব চলচ্চিত্র ‘মানুষকে আরও বেশি মানুষ করে তুলতে পারে’ সেগুলো। কিন্তু দেশে আগে এই ঘরানার নির্মাতা ছিলেন হাতেগোনা অল্প ক’জন। এই আন্দোলনের হাত ধরে ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেসব চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছিল এক বড় অন্তরায়। সিনেমা হলগুলো স্বভাবতই এই ঘরানার ছবি চালাতে চাইত না। সেখানেও হাত বাড়িয়ে দেয় সংসদগুলো। শুরু হয় দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকল্প প্রদর্শনী। আগে কেবল বিদেশি চলচ্চিত্রেরই উৎসব আয়োজন হতো। দেশীয় শিল্পসম্মত চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়ায় উৎসবের আয়োজনেও আসে ভিন্নতা।

এখনো দেশের সক্রিয় চলচ্চিত্র সংসদগুলো নিয়মিত জাতীয় পর্যায়ে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছে। বিকল্পধারার ছবিগুলোর জন্য সেসব উৎসব জনগণের কাছে পৌঁছানোর এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রচার ও প্রসারে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র’ উৎসব দু’টির কথা বিশেষ করে বলতেই হয়।

নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ভরা জোয়ারের মধ্যেই নেমে আসে আরও বড় আঁধার। শুরু হয় অশ্লীলতা ও কাটপিসের রাজত্ব। এর বিরুদ্ধেও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়ায় চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন। বরাবরই চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অন্যতম শক্তি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তারুণ্য। এ ব্যাপারে মুহম্মদ খসরু দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছিলেন, ‘অগ্রগামী শিল্প আন্দোলনে পৃথিবীর সর্বত্র যুগে যুগে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে তরুণ সম্প্রদায়।’

বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এখানকার রাজনৈতিক আন্দোলনও নয়, শিল্পের আন্দোলনও নয়। অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সে আন্দোলনেও জনমত গঠনে তারুণ্যের শক্তি হয়েছিল ভীষণ সহায়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছিল। এছাড়াও দেশে চলচ্চিত্র সমালোচনা, চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ও প্রকাশনা, চিত্রসাংবাদিকতা ও গবেষণার প্রসারে এই আন্দোলনের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এখনো দেশের সেরা চলচ্চিত্র পত্রিকা ও প্রকাশনার কথা বলতে গেলে এই আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্বদের কাছেই ফিরতে হবে। বলতে হবে মুহম্মদ খসরু ও তার পত্রিকা ‘ধ্রুপদী’, ‘ক্যামেরা যখন রাইফেল’ ও ‘চলচ্চিত্রপত্র’-এর কথা।

এ সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা বের হয়েছিল চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৪০ বছর পূর্তিতে। ‘তিমির হননের নান্দীপাঠ’। এর বাইরেও দেশের গুরুত্বপূর্ণ চিত্রসাংবাদিক ও গবেষকদের অধিকাংশই এই আন্দোলন থেকেই এসেছেন।

অনেকে বলেন, বর্তমান অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির সময়ে এসে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। কারণ এখন আর কাউকে শিল্পসম্মত চলচ্চিত্রের জন্য ধর্ণা দিয়ে বসে থাকতে হয় না। ঘরে বসে বৈধভাবেই তা উপভোগ করা সম্ভব। কিন্তু অন্তত বাংলাদেশের বাস্তবতা বলে, সুস্থ চলচ্চিত্র সংস্কৃতি থেকে আমরা এখনো বহু দূরে আছি। এখনো যুগোপযোগী রেটিং ব্যবস্থা না করে আমরা চলচ্চিত্র সেন্সর প্রথায় পড়ে আছি। এখনো দেশের মুষ্টিমেয় জেলার বাইরে নেই ভালো চলচ্চিত্র প্রদর্শন ব্যবস্থা। এখনো দেশে বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না। এখনো আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প বৈশ্বিক উৎকর্ষ থেকে পিছিয়ে আছে বহু যুগ। আর তার থেকে উত্তরণের দায়িত্ব নিয়েই সংগ্রামে রত থাকতে হবে দেশের চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের। কেননা সে দায় নিয়েই তারা এ আন্দোলনের অংশী হয়েছেন। তুলে নিয়েছেন মুহম্মদ খসরুদের মশাল।

লেখক: চলচ্চিত্র গবেষক; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি)

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন