বিজ্ঞাপন

ক্রেডিট সুইসের ব্যর্থতায় বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারে ধস

March 20, 2023 | 3:38 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সুইজারল্যান্ডের ১৬৭ বছরের পুরনো ব্যাংক ক্রেডিট সুইসের হাতবদলের খবরে বিশ্বের বিভিন্ন পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন এফটিএসই ১০০ বেঞ্চমার্ক সূচক হারিয়েছে। হংকংয়ের হ্যাংস্যাং ইনডেক্স কমেছে ৩ শতাংশ। এদিকে জাপানের টোকিও শেয়ারবাজারের নিক্কেই মান হারিয়েছে ১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেডিট সুইসের শেয়ার পতন হয় ৬২ শতাংশ। ক্রেডিট সুইসকে কিনে নেওয়া ব্যাংক ইউবিএস-এরও শেয়ার পড়েছে ১৪ শতাংশ। একইসময় ইউরোপের পুঁজিবাজারে ব্যাংকিং সূচক কমেছে ৫ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলোর শেয়ার কমেছে ২.৯ শতাংশ।

মূলত ব্যাংকিং সেক্টরের সূচকে ধস নামার প্রভাব পড়েছে সার্বিক সূচকে। সোমবার সকালে ফ্রান্স ও জার্মানির শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে ১ শতাংশ। ক্রেডিট সুইসের হাতবদলে মার্কিন পুঁজিবাজারের ফিউচারও হ্রাস পেয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ফিউচার হ্রাস পেয়েছে ১১০ পয়েন্ট যা শতাংশের হিসেবে দশমিক ৩৪। এছাড়া এস এন্ড পি ৫০০ ফিউচার কমেছে দশমিক ২৫ শতাংশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শেয়ারের ক্রমাগত দরপতনের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এমন অবস্থায় সেদেশের সরকার ক্রেডিট সুইসের পতন ঠেকাতে দ্রুত উদ্যোগী হয়ে উঠে । সরকারের মধ্যস্থতায় ছুটির দিন রোববার ব্যাংকটিকে অধিগ্রহণ করে আরেক বৃহৎ সুইস ব্যাংক ইউবিএস।

বিজ্ঞাপন

প্রতি ১টি শেয়ারে বিনিময়ে ক্রেডিট সুইসের ২২ দশমিক ৪৮টি শেয়ার কিনে নেয় ইউবিএস। সেই হিসাবে ক্রেডিট সুইসকে মাত্র ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিচ্ছে ইউবিএস। এতে দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি এড়ায় ক্রেডিট সুইস। তবে এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে।

সম্প্রতি ২০২১ ও ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ক্রেডিট সুইস। প্রতিবেদনে ব্যাংকটির ব্যালেন্স শিটের নানা দুর্বলতা উঠে আসে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকটির উপর আস্থা হারান। ব্যাংকটির বিনিয়োগকারীরাও মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন।

চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে মাঝারি আকারের দু’টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়। এর মধ্যে ক্রেডিট সুইসের এমন অবস্থায় বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে আস্থায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তবে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংকের চেয়ে সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইসের অবস্থা ভিন্ন। সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা ব্যাংক এটি। ক্রেডিট সুইসকে বিশ্বের ৩০টি বৃহৎ ব্যাংকের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই সুইস কর্তৃপক্ষ ব্যাংকটিকে দেউলিয়া হতে দেয়নি।

সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর ব্যর্থতার জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রধানতা দায়ী করছেন বিশ্বব্যাপী আগ্রাসী সুদের হার বৃদ্ধিকে। দ্রুত সুদের হার বাড়ানোর কারণে দীর্ঘমেয়াদী বন্ডের মতো নিরাপদ বিনিয়োগ থেকে আয় কমছে ব্যাংকগুলোর। আয় কমতে থাকা ব্যাংকগুলোতে দ্রুতই আস্থা হারাচ্ছেন আমানতকারীরা। গত বছর সবমিলিয়ে ক্রেডিট সুইসের লোকসান হয় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সারাবাংলা/আইই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন