বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতার কথাও বলবেন আবার যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দল গঠন করবেন!

December 17, 2017 | 6:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার কথাও বলবেন আবার যুদ্ধাপরাধী- তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দল গঠন করবেন, এটা হয় কিভাবে!

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলানগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতির পিতা তার বইয়ে লিখে গেছেন আমাদের দেশের মাটি এত উর্বর- এখানে পরগাছাও জন্মায়। আমাদের দেশে কিছু পরগাছাও ছিল। যারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। আমাদের মা-ভাই-বোনদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। যারা যুদ্ধপরাধী, যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি- বঙ্গবন্ধু তাদের বিচার শুরু করেছিলেন। তাদের রাজনীতি, ভোটের অধিকার ছিল না।

বিজ্ঞাপন

“তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা খেতাবপ্রাপ্ত- ছিলেন মেজর, জাতির পিতা পদোন্নতি দিয়ে মেজর জেনারেল করেন। সেই জিয়া সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেয়। যারা পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার অধিকার দেয়। যারা যুদ্ধ করলো- তারাই অপরাধী হয়ে গেলে! বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে কাজ করে তারা কে, তাদের যোগ্যতা কি- তারা খুনী।”

কেবল জিয়া নয়, এরশাদ-খালেদা সবাই এদের তোষামদ করেছে। আমি ওয়াদা করেছিলাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। বিচার হচ্ছে। যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদের শাস্তি হয়েছে তাদের ছেলে-মেয়েরা দলের সদস্য হয় কিভাবে- প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাছ কেটে ফেলেছে। বাংলাদেশের জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। হুকুম দিয়েছে কে- খালেদা জিয়া। পরামর্শ দিয়েছে কে- তার কুলাঙ্গার ছেলে। যে এখন মানি লন্ডারিং মামলায় বিদেশে পালিয়ে আছে। এই দুর্নীতিবাজদের, যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতাদের বাংলার মানুষ কোনোদিন ভোট দিতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

উড়ে এসে জুড়ে বসে যারা, তারা কেবল ভোগ বিলাস করে

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন