বিজ্ঞাপন

‘আমদানি করলে গরুর মাংসের কেজি ৪০০, উৎপাদন করে কেন ৭৫০ টাকা হবে’

March 23, 2023 | 3:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘দুবাইয়ে কোনো গরুর খামার নেই। সেখানে আমদানি করে মাংস বিক্রি করা হয়। তারপরে দুবাইয়ে গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা। ব্রাজিল থেকে যদি আমরা গরুর মাংস আমদানি করি তাহলে প্রতি কেজি মাংসের দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। তাহলে আমাদের বাংলাদেশে গরুর মাংস কেজিপ্রতি কেন ৭৫০ টাকায় কিনতে হবে?’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘উৎপাদন করে কেন আমাদের ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে হবে? ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি করা হলে ৪০০ টাকার বেশি দাম পড়বে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমাতে সরকার প্রয়োজনে মাংস আমদানির উদ্যোগ নেবে। এজন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিবো।’

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে বয়লার মুরগির দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। এই বছল কি এমন হলো যে ২৮০ টাকায় বিনতে হবে? এখন যদি সরকার মনে ক‌রে আমদানি করলে মাংসের দাম কমবে, তাহলে মাংস আমদানি করা উচিত। মানুষ য‌দি ন্যায্যমূল্যে মাংস কিনতে না পা‌রে, তাহলে ইন্ডা‌স্ট্রির কথা চিন্তা করে লাভ নেই।’

বিজ্ঞাপন

মো. জসিম উদ্দিন জানান, এবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আমদানি করা হয়েছে। শুধু খেজুর নয়, চি‌নি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

রমজানে বাজার মনিটরিংয়ে জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কোনো বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই কিন্তু বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একইসঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। আমরা চাই না রোজায় দাম বেশি নেওয়ার কারণে কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা কাউকে আটক করা হোক। সিরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করলে প্রয়োজনে বাজার কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।’

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যদি বয়লার মুরগি ২৪০ টাকা বিক্রি করা হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা বয়লার ২৬০ টাকা বিক্রি করলে সমস্যা কোথায়?’

বিজ্ঞাপন

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘রমজানে বাজারে খাতভিত্তিক মনিটরিং করা হবে। কেউ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ালে তাহলে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে। এছাড়া এখন বাজা‌রে ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা। এই দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে, এটা গ্রহণ‌যোগ্য নয়।’

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি এম এ মোমেন, বাংলাদেশ দোকান মা‌লিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ বাজার কমিটির সভাপতিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন