বিজ্ঞাপন

‘ঐতিহ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাবিকে আরও এগিয়ে যেতে হবে’

March 28, 2023 | 7:55 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বেশি এগিয়ে যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সময় দ্রুত পেরিয়ে যাচ্ছে। সময়ের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অনেকগুলোই ভালো করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) তার ঐতিহ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও বেশি এগিয়ে যেতে হবে। এখানে অনেক নামকরা শিক্ষকরা আছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান ও সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার্থী’ শীর্ষক এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউছার। অনুষ্ঠানে ৫৩০ জনকে বৃত্তি প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারার বিষয়টি সবসময় খেদ নিয়ে বলি আমি। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সব আন্দোলনের সূতিকাগার। বঙ্গবন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। গর্ব করার মতো অনেক কিছুই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলোর মাধ্যমে বড় হয়। নানা অর্থবহ উদ্যোগ যে তারা নিয়েছেন, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আমি আশা করি, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়ার পথ মসৃণ করবে।

তিনি বলেন, ১৯৫০ এ আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার পর আমরা বলেছিলাম, দারিদ্রতা যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধু সবসময় সেটি বলেছেন। রাষ্ট্রকে সেখানে অবশ্যই সে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। এই কাজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন করছে।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জাতির পিতার প্রসঙ্গ এখানে বেশ প্রাসঙ্গিকভাবেই আসে। রআজকের আলোচনার বিষয়—সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মূলনীতিগুলো নির্ধারণ করেছিলেন, তার মধ্যে একটি ছিল শিক্ষা। প্রথম বাজেটে তিনি প্রতিরক্ষার চেয়ে শিক্ষায় বেশি বরাদ্দ দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেধাবী, কিন্তু দরিদ্র বা গরীব নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে ল্যাগেসি ধারণ করে, তা অন্য কোথাও নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বুকে একটি মানচিত্র তৈরি করেছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের অগ্রজদের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার তিনটি বইয়ে তিনি সে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মানসিক বিকাশ হয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়ে। বাবরনামা নামে গ্রন্থটি সকল শিক্ষার্থীদের পড়া উচিত। ছোটো একটি প্রদেশ ফারগানার বাবর বাধাবিপত্তি কাটিয়ে যে ভাবে দিগ্বিদিক শাসন করেছিলেন, ঠিক বঙ্গবন্ধুও জেল-জুলুম সহ্য করে এই দেশ স্বাধীন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি নিজেও দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছি। এর চেয়ে বড় কিছু আর কী হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উল ইসলাম চৌধুরী পারভেজ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়তে আসেন, তারা প্রত্যেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী। তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা পরিচয় আছে এবং সেটা তারা বজায় রাখতে চায়। আমাকে কেউ দান করেছে—এই বিষয়ট যেন শিক্ষার্থীর মনে না করে, সে জন্য আমরা এই বৃত্তিপ্রদান কার্যক্রমের সঙ্গে সামাজিক কর্মসূচি বিষয়টি সংযুক্ত করেছি।

তিনি আরও বলেন, এখানে যারা বৃত্তি পেয়েছে, তারা নিজেদের গ্রামে গিয়ে গ্রুপ করে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করছে। তারা একটি প্রতিশ্রুতি আমাদের দিয়েছে যে, পাশ করে চাকরি পাওয়ার চার বছরের মধ্যে অন্তত একজন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব তারা গ্রহণ করবে।

সারাবাংলা/আরআইআর/এনইউ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন