বিজ্ঞাপন

২৯ মার্চ ১৯৭১: শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল

March 29, 2023 | 9:11 am

আসাদ জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২৯ মার্চ ১৯৭১। প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নামে। ভারতে আশ্রয় নিতে লাখ লাখ মানুষ সীমান্তের দিকে ছুটে। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে বসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অসংখ্য চেকপোস্ট।

বিজ্ঞাপন

সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখান থেকে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধুকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সহচর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌঁছান।

রাত দেড়টার দিকে আইনসভার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কুমিল্লার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। তাকে ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব ও নরসিংদীর মধ্যে রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কেরানীগঞ্জে বিচ্ছিন্নভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদাররা।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গায় থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বাহিনী কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার, মেশিনগান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী তিনভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণ চালায়।

পাবনা থেকে গোপালপুরে যাওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অভিযানে ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে জনতার হাতে প্রাণ হারায়।

ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ পড়ান মেজর কে এম সফিউল্লাহ। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ে সমবেত হয় পাকিস্তানি সেনারা। সন্ধ্যার দিকে তারা নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালির ওপর কাপুরুষের মতো আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।

বিজ্ঞাপন

রাতে ঢাকায় প্রেসিডেন্ট হাউজ থেকে ১ শ’র মতো বাঙালি ইপিআর সদস্যকে তুলে এনে রমনা কালীবাড়ির কাছে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী। হামলায় শহীদ হন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে নিহত হয় পাক বাহিনীর একটি দল।

সারাবাংলা/এজেড/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন