বিজ্ঞাপন

‘জিয়া বন্দি ছিলেন, তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন’

May 12, 2023 | 10:19 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তার হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মামলা করার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জিয়ার সহকর্মী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা অলি আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই- জিয়াউর রহমান ওই সময় বন্দি ছিলেন। কোনো অবস্থাতেই তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা নন এবং পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন না।’

বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর জন্য এটি (মামলা) করানো হয়েছে। এটা তাদের (আওয়ামী লীগ) সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। আমরা তাদের বলব, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েন না’— বলেন বিএনপির সাবেক শীর্ষ নেতা, বর্তমানে এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম।

শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে পান্থপথে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর, ৭ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম), কর্নেল নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম) ও লেফটেনেন্ট কর্নেল এটিএম হায়দারকে (বীর উত্তম) হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার ৪৮ বছর পর কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজহার খান বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের চব্বিশ ঘণ্টা পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমেদ বলেন, ‘এতদিন (৪৮ বছর) পরে নির্বাচনকে সামনে রেখে উনি (নাহিদ ইজহার খান) যে মামলাটা করেছেন তাকে বলব, মা এই কাজটা ভালো করেন নাই। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কোনো অবস্থাতেই এটার সঙ্গে জড়িত ছিল না।’

নাহিদ ইজহার খানের উদ্দেশে জিয়াউর রহমানের এই ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেন, ‘৪৮ বছর পর হঠাৎ ঘুম ভাঙল? এটা (মামলা) করতে হবে?’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এখানে আমারই প্রশ্ন জাগে- নাজমুল হুদার স্ত্রী তো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন না। তিনি ওইসময়ে এই মামলা করতে পারতেন। আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় ছিল ১৯৯৬ সালে, এরশাদের সময় মামলায় করতে পারতেন, তখন তিনি কিছু করলেন না। এখন নির্বাচনের আগে এসে এই ধরনের ধোঁয়াশা তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।’

‘কিন্তু জাতি এতে বিভ্রান্ত হবে না। জাতি একটা লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্য হল- চিরদিনের জন্য বর্তমান অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, সকল অত্যাচার-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, মানুষের ন্যূনতম অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি’— বলেন অলি আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে না, আওয়ামী লীগেরও বিরুদ্ধে না, কোনো দলের বিরুদ্ধে না। আমরা শুধু চাই, আমার ভোট আমি দেব এবং তা নির্বিঘ্নে দেব। কোনো অস্ত্রধারী ভোট কেন্দ্রে থাকবে না, কেউ রাতের বেলা আমার ভোট কেড়ে নেবে না। রাষ্ট্র আমাকে যে সাংবিধানিক অধিকার দিয়েছে, সেই অধিকারটা যেন আমি ভোগ করতে পারি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, এম মোরশেদ, সাকলাইন, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাহ হোসেন মিয়াজি ও আইন সম্পাদক আবুল হাশেমসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন