May 27, 2023 | 1:26 am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শাসন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে বিভিন্ন সংস্থা। এসব সংস্থা নব্য-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের এজেন্ডা-চালিত বলে মনে করে ভারত। উত্তর আটলান্টিক রাষ্ট্রের এসব সংস্থার দেওয়া র্যাংকিং ও তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের অভিযোগ উত্থাপন করছে দিল্লী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
সঞ্জীব সান্যাল বলেন, ‘ভারত এই বিষয়টি বিশ্বব্যাপী ফোরামে উত্থাপন করতে শুরু করেছে।’ তিনি মনে করেন, সূচকগুলো উত্তর আটলান্টিকের থিংক-ট্যাঙ্কগুলোর একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী দ্বারা সংকলিত হচ্ছে। এসব সংস্থাকে বাস্তব বিশ্বের কিছু এজেন্ডা নিয়ে তিন বা চারটি প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করছে।
সঞ্জীব সান্যাল বলেন, ‘এটি (রেটিং ও র্যাংকিং) শুধুমাত্র কিছু বিস্তৃত উপায়ে ন্যারেটিভ তৈরি করে না, বরং বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।’
সম্প্রতি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রকাশিত মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দেখা যায়, ভারতের অবস্থান আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের চেয়ে নিচে। এছাড়া ভি-ডেম ইনস্টিটিউটের একাডেমিক স্বাধীনতা সূচকে ভারতের অবস্থান পাকিস্তান ও ভুটানের নিচে।
সান্যাল জানান, গত বছর থেকে বিভিন্ন বৈঠকে বিশ্বব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মতো প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত বৈশ্বিক সূচক সংকলন করার পদ্ধতির ত্রুটিগুলো তুলে ধরছে ভারত।
সান্যাল বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক এই আলোচনায় জড়িত, কারণ এই থিংক-ট্যাঙ্কগুলোর কাছ থেকে তারা মতামত নেয় এবং বিশ্ব সুশাসন সূচক নামক কিছু একটা বলে তারা তা পবিত্র করে।’
সঞ্জীব সান্যালের এসব অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক, ডব্লিউইএফ, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং ভি-ডেম ইনস্টিটিউটের প্রতিক্রিয়া জানতে চায় রয়টার্স। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি। তবে ইউএনডিপি জানিয়েছে, সঞ্জীব সান্যালের অভিযোগের বিষয়ে শিগগিরই প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা।
সঞ্জীব সান্যাল মনে করেন, এসব রেটিং ও র্যাংকিংয়ের ধারণা নিজে কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু সমস্যা হলো কীভাবে এই নীতিগুলো তৈরি করা হয়েছে বা কারা এগুলো প্রত্যায়ন করছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয় যখন বিবর্তিত হচ্ছে, তখন উন্নয়নশীল দেশগুলো এই আলোচনা থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ পড়ছে।
সঞ্জীব সান্যাল বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলো এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ এটি নব্য-ঔপনিবেশিকতার একটি রূপ।’
সারাবাংলা/আইই