ফাইল ছবি
May 31, 2023 | 7:31 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা ও স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করতে নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন।
বুধাবার(৩১ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সদ্য প্রয়াত আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করেছেন তিনি। অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে অবদান রেখে গেছেন। দু:খের বিষয় আমরা একে একে সব মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি। তিনি শুধু রাজনীতিই করেননি, সাংস্কৃতিক জগৎ ও চলচ্চিত্র জগতেও অবদান রেখেছেন। আমরা তাকে জাতীয় সম্মাননায় ভূষিত করি। তার মৃত্যু আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মীরা সব সময় আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের পাশে থেকেছে এবং প্রত্যেকটা আন্দোলন সংগ্রামে সাহস যুগিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর তার নামটি মুছে ফেলা হচ্ছিলো। বঙ্গবন্ধুর নাম নিতেই কেউ যখন সাহস পাচ্ছিলেন না তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধে গানগুলোকে সামনে নিয়ে আসা, আবার সেই স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রে ফারুক বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। দেশের জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। আজকে খুব কষ্ঠ লাগছে যে তিনি এভাবে চলে গেলেন। আসলে জন্মালে তো মরতেই হবে, এটাই তো বাস্তব কথা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাদির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজ ৩১ মে, ১৯৭৪ সালের এই দিনে আমার দাদি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আমি আজকের এই দিনে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
তিনি বলেন, আমার দাদি জন্ম দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমার দাদি সায়রা খাতুন তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, আমি তার জন্য জাতির কাছে দোয়া চাই।
শোক প্রস্তাবের আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নুর, মেহের আফরোজ চুমকি, হাবিব হাসান, বিরোধী দরের উপনেতা জিএম কাদের, জাতীয় পাঠির কাজী ফিরোজ রশিদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
সারাবাংলা/ এ এইচ এইচ/এনইউ