বিজ্ঞাপন

‘বাজেটের আকার অবাস্তব নয়, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বড় চ্যালেঞ্জ’

June 3, 2023 | 6:03 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার অবাস্তব নয়। তবে বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সব সরকারই ভালো বাজেট দেওয়ার চেষ্টা করে। এবারও ভালো বাজেট দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক সহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপি বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতির কারনে অত্যন্ত চাপের মুখে। এমতবস্থায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বিশাল এই বাজেট বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, রিজার্ভ বাড়ানো, অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ডলার সংকট এবং বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগ, আমদানি, রফতানি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ সবকিছুর গতি নিম্নমুখী। অথচ মূল্যক্ষিতীর পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমূখী। সরকারকে এই বাজেট মেয়াদে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। সেখানে সাধরণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার। কৃষি খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। সামাজিক সুরক্ষায়ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম এক সময় খুব কম ছিল। আজ কিন্তু সেই অবস্থায় নেই। এখন বিদ্যুৎ-গ্যাসের অনেক দাম। বিদ্যুৎ-গ্যাসে আরও নানাভাবে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

রাজস্ব লক্ষ্যমাত্র অর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এনবিআরে সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানো দরকার। এনবিআরের ডিজিটালাইজেশন দরকার। আমরা বলেছিলাম এনবিআরের পলিসি ও ইপ্লিমেনটেশন উইংকে আলাদা করার কথা, এখনও সেই উদ্যোগ দেখছি না। করের জাল বাড়াতে হবে। উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাট অফিস বিস্তৃত করা দরকার। প্রয়োজনে কর শুমারি হওয়া উচিৎ। বাসা-বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া দরকার কারা কর দিতে পারবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘চেষ্টা করা হয়েছে ভালো বাজেট দেওয়ার জন্য। সব সরকারই চেষ্টা করে ভালো বাজেট দিতে। এবারও সেই চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী ও হাবিব উল্লাহ ডন এবং পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন