বিজ্ঞাপন

মিতু খুনের আসামি কালু কারাগারে

June 3, 2023 | 8:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি খায়রুল ইসলাম কালুকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় তদন্তাধীন একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মিতু খুনের সাত বছরের মাথায় পলাতক কালুকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টিম গ্রেফতার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে গ্রেফতার খায়রুল ইসলাম কালুকে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার আদালতে হাজির করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) জাকের হোসাইন মাহমুদ।

শুক্রবার (২ জুন) রাত ২টার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার ছিন্নমূল এলাকা থেকে কালুকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।

পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে খায়রুল ইসলাম কালুকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিচারাধীন মিতু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করবে।

বিজ্ঞাপন

চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে। পলাতক কালুকে গ্রেফতারে পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে তার পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।

অভিযোগপত্রের আসামিদের মধ্যে এখন শুধুমাত্র মুসা পলাতক।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন