June 4, 2023 | 6:18 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় আরও পাঁচ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন-ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূইয়া, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের ম্যানেজার একাউন্টস অ্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন মো. শহীদুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের সেলস ম্যানেজার এ কে এম হামিদুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার খন্দকার সহিদুর রহমান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার।
রোববার (৪ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এই সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আগামী ৫ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
গত বছর ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।পরবর্তীতে আবারও মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সারাবাংলা/এআই/ এনইউ