‘কঠিন সময়, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগ কঠিন সময় পার করছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের পরনিন্দা-পরচর্চা বাদ দিয়ে ঐক্য ধরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বুধবার (৭ জুন) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।

জন্ম থেকেই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আসছে মন্তব্য করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘জন্ম থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এবং চলবে। এই ষড়যন্ত্র সাময়িকভাবে সফল হলেও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হয়নি। কারণ আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের জন্য এ পর্যন্ত যা কিছু অর্জন হয়েছে, তা একমাত্র আওয়ামী লীগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ কঠিন সময় পার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছি। দেশ-বিদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে না পারলে আমরাই শুধু নয়, সমগ্র বাংলাদেশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিজয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী না হয় এবং ভিত্তি যদি সৃদৃঢ় না থাকে তাহলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থেকে জনগণকে যা দেবার তার সবকিছুই দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের তিন কোটি উপকারভোগী পরিবারকে নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন এবং সামাজিক সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করেছেন। আমরা যদি এই তিন কোটি উপকারভোগী পরিবারকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দলের পতাকাতলে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে কোনো অপশক্তি বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না। সুতরাং পরনিন্দা ও পরচর্চা বাদ দিয়ে আত্মসমালোচনা করুন এবং নিজের আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন।’

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সদস্য হাজী বেলাল আহমদ।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ