বিজ্ঞাপন

কমেছে তাপমাত্রা, স্বাভাবিক হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি

June 10, 2023 | 12:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গত কয়েকদিন ধরে চলা উচ্চ তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বাড়তি থাকলে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। ফলে সরবরাহ আর উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়, যা গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছিল। তার ওপর ছিল জ্বালানি সংকট। ফলে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছিল।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় সাময়িক লোডশেডিং করা হলেও অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক ছিল। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ৮টায় দেশের কোনো কোনো এলাকা লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে ছিল। এর মধ্যে ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি কোনো লোডশেডিং করেনি। সারাদেশে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ৭৭২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। এছাড়া, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অনেক এলাকায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ৮ জুন সারাদেশে সন্ধ্যায় ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১২ হাজার ৬৭৭ মেগাওয়াট। রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চাহিদা কমে ১৩ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে আসে। ফলে সরবরাহ ঘাটতিও কমে আসে।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে যে ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল তা কমে ৩৭ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের শনিবারের (১০ জুন) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দুইদিন আগেও ছিল ৩৮ ডিগ্রিতে। গত দুই দিনে তাপমাত্রা কমা এবং বৃষ্টির কারণে দেশের তাপমাত্রা অন্তত ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কমেছে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেছে। পাশাপাশি সরকারের পদক্ষেপে বিদ্যুতের উৎপাদনও কিছুটা বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডেসকোর ১ হাজার ১৩০ মেগাওয়াট এবং ডিপিডিসির ১ হাজার ৫৬৪ মেগাওয়াট চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। আর আরইবি এলাকায় ১ হাজার ২৭৮ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। জানা গেছে, দেশের অন্যান্য স্থানেও কোনো ঘাটতি ছিল না। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ডিরেক্টর অপারেশন মো. মহিউদ্দীন সারাবাংলাকে জানান, শুক্রবার (৯ জুন) সারাদেশে বিদ্যুতের যা চাহিদা ছিল তা পূরণ করা গেছে। সরবরাহে কোনো ঘাটতি ছিল না।

উল্লেখ্য, কয়লা সংকটে গত সপ্তাহে দেশের সবচেয় বড় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। তেল, গ্যাস সংকটে প্রায় ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং-এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন