বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

June 11, 2023 | 12:24 am

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: আজ ১১ জুন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫তম কারামুক্তি দিবস। ২০০৮ সালের এই দিনে তিনি ১১ মাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। ১/১১-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা নেওয়া সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনাকে জেলে ঢোকানোর পর একে একে ১৩টি মামলা সাজানো হয় তার নামে। কিন্তু একটুও বিচলিত হননি তিনি। সারা বছর জুড়েই তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। ২০০৮ সালের ২৩ মে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের ৭২টি সাংগঠনিক শাখার তৃণমূল নেতারা শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন এবং তাকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য দেশজুড়ে চলমান আন্দোলন জোরদারের ঘোষণা দেন।

ওই বছরের ২৭ ও ২৮ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, শেখ হাসিনাকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর দেশজুড়ে শুরু হয় গণগ্রেফতার। প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আটক করা হয়। কিন্ত তবুও শেখ হাসিনার পক্ষে গণজোয়ার থামানো যায়নি।

শেখ হাসিনা বন্দিদশায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে তাকে জেল মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি ওঠে। বিভিন্ন মহল থেকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত দাবি ও চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে রাজি হয়।

বিজ্ঞাপন

অবশেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেল থেকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা। এমনকি গাড়িতে করে তার নিজ বাসভবন সুধাসদনে পৌঁছে দিয়ে আসা হয় তাকে।

এরপর মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন ‘দিন বদলের সনদ।’ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে জনগণের জন্য সবধরনের সুবিধা নিশ্চিতের ঘোষণা দেওয়া হয় এই ইশতেহারে।

শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও দুঃসাহসী নেতৃত্বে ভর করে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এক চেটিয়া জয় লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। জোটের মোট অর্জিত ২৬৭ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগই পায় ২৩০টি। এর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ও রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করে নতুন সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন ১৪ দল। আর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে টানা তৃতীয় বার মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখানোর স্বপ্নময় পথ অতিক্রম করছে।

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন