বিজ্ঞাপন

ভাইজান সবার, কিন্তু ব্যবসাটা কার?

May 10, 2018 | 5:41 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের নিয়ম অনুযায়ী, অনুমতি পাওয়ার পর শুরু করতে হবে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ। কিন্তু পুরো সিনেমার শুটিং শেষ করে যৌথ প্রযোজনার সিনেমার অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমার সংশ্লিষ্টরা। আর তাতেই বেঁধেছে বিপত্তি। ছবিটি এদেশে মুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ভারতে ছবিটির মুক্তির তারিখ না জানা গেলেও বাংলাদেশে ছবিটি লড়ছে ঈদে মুক্তির জন্য। ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী, পায়েল সরকার, দীপা খন্দকার, শাহেদ আলী, মুনীরা মিঠু ও রজতাভ দত্ত।

‘বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’- এই প্রবাদটি মাথায় রেখে এবার বেশ সতর্ক ঢাকাই চলচ্চিত্রের মুরুব্বিরা। ‘ভাইজান এলো রে’ দেখানো তাই খুব একটা সহজ হচ্ছে না ওপার বাংলার প্রযোজকের। তবে ভাইজানকে বাংলাদেশে ছাড়তে নতুন এক কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন ছবিটির নির্মাতা জয়দ্বীপ মুখার্জী ও প্রযোজক এসকে মুভিজ। এ দেশে সিনেমাটিকে সরাসরি মুক্তি দিতে পরিচালক সমিতি ও প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সদস্য হওয়ার আবেদন জমা পড়েছে।

পরিচালক সমিতির সদস্য হতে জয়দ্বীপের আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা জয়দ্বীপের আবেদন পেয়েছি। এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। আপাতত এর বেশি ‍কিছু বলতে পারছি না।’ তবে সমিতির বাইরে কানাঘুসা চলছে যে সমিতির সদস্যপদ পাবেন না জয়দ্বীপ।

বিজ্ঞাপন

‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে অশোক ধানুকার মালিকানাধীন এসকে মুভিজ। এই প্রতিষ্ঠানটিও ‘এসকে ইন্টারন্যাশনাল’ নামে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্যপদ চেয়েছে। সমিতির সূত্র সারাবাংলাকে বলে, ‘মে মাসের তিন তারিখে এসকে ইন্টারন্যাশনাল নামে সদস্যপদ চেয়েছে এসকে কর্তৃপক্ষ। বিদেশি কেউ যদি সদস্য হতে চায় তাহলে তাদের ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পাসপোর্ট, টিন সার্টিফিকেট জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। তারা এর সবগুলোই জমা দিয়ে আবেদন করেছে।’

পরিচালক বা প্রযোজক সমিতির সদস্যপদ পেয়ে গেলে ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি সরাসরি মুক্তি দিতে কোনো ঝামেলাই থাকবে না। কিন্তু সমিতির সদস্যপদ না পাওয়া গেলে এবং যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি ছবিটি অনুমতি না দিলে বিকল্প হিসেবে ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি দেশে আনতে অবল্মন করা যাবে সাফটা চুক্তির মাধ্যম।

তবে সাফটা চুক্তির আওতায় ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি এদেশে মুক্তি দিতে বিদেশি পরিচালক ও প্রযোজকের প্রয়োজন নেই এদেশের সমিতির সদস্য হবার। সাফটার নিয়ম অনুযায়ী সিনেমা আমদানি করে সেন্সর ছাড়পত্র করালেই তা এদেশে প্রদর্শনের যোগ্য। জয়দ্বীপ মুখার্জী ও এসকে ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের পরিচালক ও প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সদস্য হওয়ার ইচ্ছার মূল কারণ হয়ত আরও সুদূরপ্রসারী বলে  মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে এদেশে সরাসরি সিনেমা নির্মাণ এবং প্রদর্শণের জন্য এটি সবচেয় শক্ত পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন প্রযোজক নেতারা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১০ মে) ঢাকায় এসেছেন এসকে মুভিজের মালিক অশোক ধানুকা। এদেশে এসেই সভা শুরু করেছেন তিনি। বাংলাদেশে সরাসরি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসতে চাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে অশোকের এবারের ঢাকা সফরে।

সারাবাংলা/টিএস/পিএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন