বিজ্ঞাপন

‘আমাদের জলসীমা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না’

August 21, 2023 | 10:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ‘একটি বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের জলসীমা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সরকারের ওপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা প্রয়োজনে একাত্তরের মতো জীবন দেব, তবু আমাদের জলসীমা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ে ওয়াকার্স পার্টির কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভায় সুজন এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা অপচেষ্টা চলছে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়তসহ স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী।’

‘প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনই হচ্ছে ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র পথ। কিন্তু তারা সেটা না করে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। কারণ তাদের আন্দোলনে কোনো জনভিত্তি নেই। একের পর এক ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চায় তারা।’

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে সুজন বলেন, ‘একটি বিদেশি রাষ্ট্র দেশের রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ১৯৭১ সালেও দেশটি পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিল। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে তাদের রুখে দিয়েছিল।’

বাংলাদেশের জলসীমা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ দেশ কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। প্রয়োজনে একাত্তরের মতো জীবন দেব, তারপরও এদেশের আকাশ, এদেশের জলসীমা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না।’

জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি আবু হানিফ, ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য গাজী আলমগীর, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, গণআজাদী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম আশরাফী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিটুল দাশগুপ্ত, ন্যাপ মহানগর কমিটির সভাপতি বাপন দাশগুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, তরিকত ফেডারেশনের মহানগর আহবায়ক কাজী আহসানুল মোর্শেদ কাদেরী, গণআজাদী লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম এবং জেলা ওয়াকার্স পার্টির সদস্য মনসুর মাসুদ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন