বিজ্ঞাপন

জামিন পেলেন মিতু হত্যার ‘অস্ত্রদাতা’ ভোলা

May 13, 2018 | 8:49 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যায় ব্যবহৃত ‘অস্ত্র সরবরাহকারী’ এহতেশামুল হক ভোলা জামিন পেয়েছেন। মিতু হত্যা এবং অস্ত্র আইনে থাকা দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় ভোলা যে কোনসময় মুক্তি পেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ মে) জামিনের আদেশ চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় এসে পৌঁছেছে। এ মামলায় গত  ৫ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ভোলাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী সারাবাংলাকে জানান, হাইকোর্টের জামিনের আদেশ সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপনের পর চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হবে।
হত্যা মামলায় জামিন আদেশ পৌঁছার পর ভোলা মঙ্গলবার সকাল নাগাদ কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে কর্মরত থাকার সময় বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে ভোলা পরিচিত ছিলেন। বাবুলের স্ত্রী খুনের ২৩ দিন পর ২০১৬ সালের ২৮ জুন ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হত্যা এবং অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কয়েকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

বিজ্ঞাপন

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাবার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মিতুকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায়  ওই বছরের ৮ জুন ও ১১ জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশ হাটহাজারি উপজেলা থেকে আবু নসুর গুন্নু ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার শীতল ঝর্ণা থেকে শাহ জামান ওরফে রবিন নামে দুইজনকে গ্রেফতার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিতু হত্যায়তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

ওই বছরের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ফলে সন্দেহের তীর যায় বাবুলের দিকে।

বিজ্ঞাপন

২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুইজনের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানান, মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি তাদের ভোলা দিয়েছিল।

এরপর এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলেও জানিয়েছিল পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ভোলা ও মনিরকে আসামি করে  একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে পুলিশ। এছাড়া গত ১ জুলাই মোটর সাইকেল সরবরাহ করার অভিযোগে মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইদুল ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন।

এই ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও মিতু হত্যা মামলাটি এখনও তদন্তের পর্যায়ে আছে।

সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন