September 28, 2023 | 12:17 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীতে প্রতি বছরের মতো এবারও হাজারো নবীপ্রেমীর অংশগ্রহণে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ধর্মীয় এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং লিবারেল ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধর্মীয় শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও দোয়েল চত্বর হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
শোভাযাত্রা ও শান্তি মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করতে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, উপজেলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয় হাজার হাজার জনতা।
শোভাযাত্রার অগ্রভাগে দৃষ্টিনন্দন বড় বড় হরফে লেখা ছিল ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা’। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) ও আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুসে কলেমা খচিত পতাকা, প্লেকার্ড ও ফেস্টুন ছাড়াও বাংলাদেশের বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে অংশগ্রহণকারীরা। ‘নারায়ে তকবির, নারায়ে রেসালত’য়ের স্লোগানে স্লোগানে রাজধানীর রাজপথ মুখরিত করে তোলেন তারা।
জুলুস শেষে মুসলিম জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমন জগৎবাসীর জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ। তিনি আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীবাসীকে শান্তি, সাম্য ও মুক্তির পথ দেখান। রাসূলে পাক (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমনের মূল উদ্দেশ্যই হলো একটি শান্তি ও সহাবস্থানপূর্ণ মানবিক বিশ্ব সমাজ গড়ে তোলা।
পীরজাদা মুফতী মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল-আযহারী ও শায়খ আজমাঈন আসরারের সঞ্চালনায় অতিথি ও আলোচক ছিলেন ১৪ দলীয় সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, লিবারেল ইসলামিক জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) চেয়ারম্যান ও লিবারেল ইসলামিক জোটের কো-চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও মইনীয়া যুব ফোরাম সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইনীয়া যুব ফোরামের নির্বাহী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, এফবিসিআই পরিচালক মো. রেজাউল করিম রেজনু, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক আকন্দ, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরীসহ অনান্যরা।
সারাবাংলা/ইআ