আজ ১ অক্টোবর— গণচীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে বেইজিংয়ের তিয়ানেনমেন মহাচত্বর থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সে তুং। প্রতিবছর চীনের জাতীয় দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হয়। জাতীয় দিবসের একদিন আগে অর্থাৎ, ৩০ সেপ্টেম্বর চীনে শহিদ দিবস। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শহিদ দিবস উপলক্ষে চীনে ৮ দিনের জাতীয় ছুটি চলছে।
চীন ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে চীনের দূতাবাস।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে চীনজুড়ে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এদিন সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংসহ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শীর্ষ নেতারা বেইজিংয়ের তিয়ানেনমেন স্কোয়ারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শনিবার জাতীয় দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানে শি জিনপিংয় ও লি কিয়াংয়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শাও লেঝি, সিপিসির শীর্ষস্থানীয় নেতা ওয়াং হুনিং, কাই কুই, ডিং জুয়েক্সিয়াং, লি শি এবং হান ঝেংসহ অন্যরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে সিপিসির সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে চীনা জনগণের মুক্তি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের উন্নয়নে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি নীরব শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে শহিদদের স্মৃতির প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতারা। দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন করবে চীন।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় দিবসের ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সাধারণত এই ভাষণটি চীনের প্রধানমন্ত্রী দিয়ে থাকেন। তবে এবার আধুনিক চীনের রূপকার হিসেবে খ্যাত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভাষণ দিলেন।