বিজ্ঞাপন

যশোর বোর্ডের অডিট অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুরু হয়নি তদন্ত

October 2, 2023 | 11:06 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতি থাকায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের অডিট অফিসারের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটিকে অফিসিয়ালি চিঠি দেয়া হয়নি। ফলে কমিটির কাজও শুরু হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গতকাল যশোরের স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় অডিট অফিসার আব্দুল করিমের দুর্ব্যবহার বিষয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল ও তদন্ত কমিটি গঠন বিষয়ক খবরটি বোর্ডের সর্বত্র আলোচিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় কর্মচারীদের উভয় অংশসহ অফিসারদের অনেকেই দারুণ খুশি হয়েছে। তাদের অনেকেই চান অডিট অফিসারকে প্রত্যাহার করা হোক। আবার অনেকেই গঠিত তদন্ত কমিটির বিষয় কিছুটা আস্থাহীনতার কথাও বলেছেন। বিশেষ করে তদন্ত কমিটির প্রধান বিদ্যালয় পরিদর্শক অতীতে অনেক বিষয় কৌশলে অভিযুক্তকে রক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, অডিট অফিসার দুদিনের ছুটি নিয়ে গতকাল অফিসে আসেননি। তবে তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী মানুষ এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দিয়ে বোর্ড সিবিএ নেতাসহ কয়েকজনকে ফোনে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলেও বোর্ড পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অডিট অফিসার আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় রোববার। নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয় সোমবার। গতকালই ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন বোর্ড চেয়ারম্যান। তিনি আরও জানিয়েছিলেন সোমবার কমিটিকে অফিসিয়ালি চিঠি দেয়া হবে তখন নাম-পরিচয় জানানো হবে।

বিজ্ঞাপন

একাধিক সূত্র জানায়, অডিট অফিসার দু’দিনের ছুটি নিয়েছেন অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরই। ফলে সোমবার তিনি অফিসে হাজিন হননি। তবে, তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী মানুষ দিয়ে কাউকে কাউকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। এমনকি তিনি খুলনার শ্রম অধিদফতরের উপপরিচালককে দিয়ে বোর্ডের সিবিএ নেতাদেরকে ফোন দিয়েছেন বলেও সূত্র জানায়।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন সিবিএ সভাপতি আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, গতকাল শ্রম অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন করে আব্দুল করিমের অভিযোগটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।

ম্যানেজ করার বিষয়টি অডিট অফিসার আব্দুল করিম এড়িয়ে গিয়ে জানান, তিনি অসুস্থ তাই অফিসে যাননি।

বিজ্ঞাপন

বোর্ড সূত্র আরও জানায়, অতীতে বিদ্যালয় পরিদর্শককে যে যে কমিটিতে (তদন্ত বিষয়ক) রাখা হয়েছে তার কোনোটাই ইতিবাচক ফল তৈরি হয়নি। সর্বশেষ মাসাধিককাল পরীক্ষার ফলাফল তৈরি বিভাগের প্রিন্টারের নাট চুরি বিষয়ক তদন্তের রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি বলেও কর্মচারীরা দাবি করেছেন বলে সূত্র জানায়। এ সব কারণে বর্তমানে চলমান বিষয়ের সঠিক তদন্ত নিয়ে কর্মচারীদের কেউ কেউ সন্দিহান রয়েছেন।

কাজ কবে শুরু হবে বা কতদিনে তদন্ত শেষ করতে হবে এ বিষয়টি জানার জন্যে তদন্ত কমিটির প্রধান বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনো চিঠি পাননি। আরেক সদস্য উপ-পরিচালক(হিওনি) ড. এস এম রফিকুর রহমান জানান, তিনিও চিঠি পাননি।

বোর্ড সচিব প্রফেসর এম আব্দুর রহিম জানান, চিঠি হয়েছে। সাত কর্মদিবসের সময় দেওয়া হয়েছে কমিটিকে। তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলে বোর্ড চেয়ারম্যান সেটি ফরোয়ার্ড করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

এ বিষয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবীব জানান, চিঠি পাঠানো হয়নি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতি থাকায় বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা ) ক্যাডারের কেউ কাজ করেনি তাই চিঠিতে স্বাক্ষর করা হয়নি। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদেরদেকে অফিসিয়ালি চিঠি দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন