বিজ্ঞাপন

আবারও বনানীতে হোটেলে নিয়ে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ

December 18, 2017 | 9:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বনানীতে আবারও তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার অভিযোগটি উঠেছে সঙ্গীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিলের ভাই কুশান ওমর সূফির বিরুদ্ধে।

ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বনানী থানায় মামলা করেছেন ওই তরুণী। মামলা নম্বর- ১৪।

বনানী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল মতিন সারাবাংলাকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযোগ অনুযায়ী ওই তরুণীর ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। তদন্তে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এজাহারে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ‘ওই তরুণীর সাথে কুশান ওমর সুফির প্রায় দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেম সম্পর্কের কারনে কুশানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এমনকি বিয়ে করবে বলেও বাড়ির সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

গত জুন মাসে কুশান দেশের বাইরে যায় এবং সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে বিয়ে কথা জানায়। এ ছাড়াও এজাহারে বাদী জানায় গত ১৯ নভেম্বর আমি কুশানের বাসায় যাই আমাদের বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে। কিন্তু আসামীর বোন আনুশেহ আনাদিল আমাকে তাদের বাসায় ঢুকতে দেয়নি। সে সময় কুশান আমাকে বলে যে, ‘চলো আমরা বাইরে কোথাও গিয়ে আলোচনা করি’।

পরে ২০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে সে এক রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাকে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ৬০ নম্বর বাড়ির হোটেল সুইট ড্রীমের ৮০৫ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যায়। পরে বিয়ের বিষয়ে কোনো কথা-বার্তা না বলে হঠাৎ আমাকে মারধর শুরু করে। তখন আমি বারবার বাঁধা দেওয়া সত্ত্বেও আমাকে সে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

বিজ্ঞাপন

২০ নভেম্বর সকালে মোবাইল ফোনে বনানী থানায় জানালে, থানার টহল টিম আমাকেসহ কুশানকে থানায় নিয়ে আসে এবং অভিযোগ করার জন্যে আইনী পরামর্শ দেয়। সংবাদ পেয়ে বিবাদী তার চাচা পাপ্পু সুফি থানায় আসলে তাকে ঘটনা সম্পূর্ণ খুলে বলি। এরপর আমার আত্মীয় সাক্ষী শাহীন খান এবং বিবাদীসহ তার আত্মীয় পাপ্পু সুফি ও নুর ইসলামের সামনে আমার কাছে ক্ষমা চায় কুশান। পরদিন ২১ নভেম্বর আমাকে বিয়ে করবে বলে সবার সামনে কথা দেয়। আমাদের বিয়ের দিন ঠিক করায় আমি ওই ঘটনার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করব না বলে জানিয়ে অভিযোগ দায়ের না করে আমরা থানা থেকে চলে যাই। সাক্ষীদের সামনেই এক লিখিত আপোষ মীমাংসা হয়। পরে ২১ নভেম্বর আমি বিবাদীর বাসায় গেলে তার বোন আনুশেহ আনাদিল, বোনের স্বামী শেত পান্ডু ব্লুববার্গ ও আত্মীয় সাজলী আমাকে বাসায় ঢুকতে না দিয়ে মারধর করে এবং নানাভাবে হুমকি ও ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারা কুশানকে অন্য জায়গায় রেখে আসে। ২-৩ দিনের মধ্যে বিবাদীকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিবেন বলে আমাকে জানান।’

ভুক্তভোগী এ সকল তথ্য জানিয়ে ২৩ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নম্বর ৯৩৫)। জিডিতে তিনি কুশানের দেওয়া প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন।

সারাবাংলা/এসআর/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন