ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ছবি: উইন্ডি
November 17, 2023 | 1:49 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশেই ঝরছে বৃষ্টি। রাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি’।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
একটা সময় পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নাম থাকত না। পরের দিকে ঘূর্ণিঝড় হলে তার গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী নাম ঠিক করা হতো। পরের দিকে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো এলাকার সবগুলো দেশ মিলে একাধিক নাম প্রস্তাব করে রাখবে। ঘূর্ণিঝড় এলে এই নামগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন- উপকূলে মিধিলি, মোংলা-পায়রা অতিক্রম করতে পারে সন্ধ্যায়
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বর্তমান ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মিধিলি’। এই নামটি দিয়েছে মালদ্বীপ, যারা ঘূর্ণিঝড়ের এই অঞ্চলের নামকরণ গ্রুপের চতুর্থ দেশ।
মালদ্বীপের ভাষা ধিভেহি। ইংলিশ-ধিভেহি এক অভিধানে মিধিলি শব্দের ইংরেজি অর্থ পাওয়া যায় ‘ট্রপিক্যাল আমন্ড’ অর্থাৎ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কাঠবাদাম।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, কলকাতায় মালদ্বীপের অনারারি কনসাল রাম কৃষ্ণ জয়সওয়ালের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিশালাকৃতির কোনো গাছ বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
২০০০ সালের পর অঞ্চলভিত্তিক ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ আগে থেকেই করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর তথা উত্তর ভারত মহাসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড়, সেগুলোর নাম ঠিক করবে এই অঞ্চলের ১৩টি দেশ। দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অরগানাইজেশন প্যানেলের সদস্য এই দেশগুলো কয়েকটি করে নাম জমা দেয়। সেই নামগুলোই পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ের নাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য ক্রমনির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিলে এই দেশগুলোর কাছ থেকে ১৩টি করে নাম নেওয়া হয়েছে।
এই তালিকার প্রতিটি দেশের প্রস্তাব করা প্রথম নামটি ব্যবহার করা শেষ হয়েছে। প্রস্তাব করা দ্বিতীয় নামের তালিকার প্রথম তিনটি নামও ব্যবহার করা হয়েছে। এবার দ্বিতীয় তালিকার চতুর্থ তথা পুরো তালিকার ১৭তম নাম ‘মিধিলি’, যেটির অগ্রভাগ এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে চলে এসেছে।
একই হিসাবে উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘মিগজাউম’, এই নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।
আরও পড়ুন-
সারাবাংলা/টিআর