May 22, 2018 | 12:22 pm
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলার সময় নিজের রাইফেল থেকে গুলি করে দু’টি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ মারার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। দেশটির বন্যপ্রাণী আইনে ২০ বছর ধরে মামলা চলার পর গত মাসে তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেয় আদালত। তবে, একরাত জেলে কাটিয়েই জামিনে মুক্তি পান তিনি। শুধু এটিই নয়, এই নায়কের বিরুদ্ধে রয়েছে ‘হিট এন্ড রান’-এর আরও একটি মামলা। যেখানে গাড়ি চাপা দিয়ে ঘুমন্ত মানুষ খুনের দায়ে অভিযুক্ত ‘চুলবুল পাণ্ডে’ খ্যাত সালমান।
টুইঙ্কেল জেলে গিয়েছিলেন মাত্রাজ্ঞানহীন যৌনতা প্রদর্শনীর কারণে। ‘ল্যাকমে’র ফ্যাশন শো’-তে স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্নাকে দিয়ে প্যান্টের জিপার খুলিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। এই ঘটনার জন্য বেশ সমালোচিতও হয়েছিলেন তারা। পুলিশ অবশ্য সমালোচনা শুনেই বসে থাকেনি, পাবলিক শো-তে এই আচরণের জন্য জেলে বন্দী করেছিলেন টুইঙ্কেলকে।
বিজ্ঞাপন
বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে ঘটনাবহুল জীবন কাটিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে ৫ বছরের জেল হয় সঞ্জয়ের। ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান। পরে উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন ২০১৩ সালের ১৬ মে টাডা কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় বছর খানেক জেল খাটতে হয়েছে তাকে।
‘গ্যাংস্টার’ খ্যাত এই অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ গুরুতর। বাড়ির কাজের মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৯ সালে গ্রেফতার করা হয় শাইনিকে। নিম্ন আদালতে তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ফলে, দীর্ঘ সময় জেলে কাটাতে হয় তাকে।
ধর্ষণের অভিযোগে জেল খেটেছেন ‘আশিকি-টু’ খ্যাত গায়ক অঙ্কিত তিওয়ারিও। কেরিয়ারের মাঝপথেই ২০১৪-এ ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন ইন্ডিয়ান আইডল তারকা অঙ্কিত। অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বান্ধবীকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করেন তিনি।
২০০১ সালে একটি ম্যাগাজিনে ফটোশুটের সময় হিন্দু ধর্মীয় নামাবলী লেখা হলুদ কুর্তা পড়ে অশালীনভাবে পোজ দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযোগে একদিন জেলে থাকতে হয়েছে তাকে।
২০০৬ সালে দুই পথচারীকে বাইক দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জন আব্রাহামের বিরুদ্ধে। ৬ বছর মামলা চলার পর শেষে ১৫ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল জনকে। পরে এই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল জনের ব্যক্তিজীবনেও। জেল থেকে বের হওয়ার কিছুদিন পরে বিপাশা বসুর সঙ্গে প্রেম ভেঙ্গে গিয়েছিল তার। ধারণা করা হয়, এই ঘটনার কারণেই টানাপোড়েন শুরু হয় তাদের প্রেমের সম্পর্কে।
২০১২ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে কয়েকজনের সঙ্গে মারামারি করেন সাইফ। তার স্ত্রী করিনাকে কটাক্ষ করায় উত্তেজিত হয়ে একজনকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারায় গ্রেফতার করা হয় সাইফকে। পরে অবশ্য জামিন দিয়ে ছাড়া পেয়ে যান তিনি।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম