বিজ্ঞাপন

কারওয়ান বাজারে স্থিতিশীল!

May 25, 2018 | 3:09 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোজার আটদিন পেরিয়ে যাচ্ছে। তাই, বাজারে রোজা শুরুর সময়ের উত্তাপ কিছুটা কমে এসেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, রোজার প্রধান উপকরণগুলোর দাম অনেকটাই কমে এসেছে। গরু, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামেই। ব্রয়লার মুরগিতে দাম কমেছে কেজিতে অন্তত ২০ টাকা। শুক্রবার (২৫ মে) রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও যার দাম ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। আর ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪৪ টাকায়। দাম কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজেরও। এখন তা ১৬ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বিক্রেতা খলিল বলেন, পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে। তবে আরও কয়েকজন বিক্রেতা সারাবাংলাকে জানান, রোজার প্রথম দিকে পেঁয়াজ কেনায় বাড়তি চাপ পড়েছিল। একসঙ্গে অনেক পেঁয়াজ কিনতে যাওয়ার কারণেই দাম বেড়েছিল। তবে পাইকারী বাজারের প্রভাব এখনও খুচরা বাজারে পড়েনি বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে চীনা রসুন ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে যা ১০৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে। সে হিসেবে পণ্যটির দাম কমেছে অন্তত ৪০ টাকা। আর দেশি রসুন মান ভেদে ৪৪, ৫০ ও ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে বেগুন এখনো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহেও এর দাম খুব একটা কমেনি। তবে রোজার আগের দিন বেগুনের দাম উঠেছিল ১০০ টাকায়। আর শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রথম রোজায় শশার দাম ছিল সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। তবে রোজার আগের দিন এর দাম উঠেছিল ৮০ টাকায়।

এদিকে সবজির বাজারও কিছুটা কমতির দিকে। অধিকাংশ সবজি ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ৪০, পটল ৪০, ঢেরশ ৪০, টমেটো ৫০ ও কাঁচামরিচ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম কম ছিলো ছোলা, মসুর ডাল ও চিনির। বর্তমানে ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ছোলার দাম কমেছে অন্তত ৫ টাকা। মনোয়ার হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, তীরের এক বস্তার ছোলার দাম এখন ৩ হাজার ২৫০ টাকা। আগে যা ৩ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, খুচরা বাজারে এই ছোলা এখন ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েকদিন আগেও ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দাম কমার কারণ জানতে চাইলে মায়ের দোয়া স্টোরের কর্মচারী বাবলু সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে প্রচুর পণ্য রয়েছে। রমজানের শুরু থেকে এ বছর বেচাকেনা কম। তাই দাম কমেছে। তিনি জানান, ২ টাকা কমে চিনি এখন ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুরের ডাল ৫ টাকা কমে ৮৫ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল ৫৫ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। আর স্থির রয়েছে ভোজ্যতেলের দাম।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের দেশি রুই ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা, ইলিশ ২ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ টাকা, মৃগেল ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা গৌতম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোজায় সব সময় মাছের দাম কম থাকে। এবারও কম। আর মাছের আমদানিও বেশি।’

এদিকে সরকার নির্ধারিত দামেই গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে কার ওয়ান বাজারে। দোকানের উপরে ছোট্ট বোর্ডে টাঙানো রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত মূল্য তালিকা। দোকানগুলোতে গরু ৪৫০ ও খাশি ৭২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত শুক্রবারেও এখানে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কামাল নামের এক মাংস বিক্রেতা বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামেই আমরা মাংস বিক্রি করছি। গত শুক্রবার কেন তা হয়নি জানতে চাইলে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, রোজার প্রথম দিন ছিল। তাই সেভাবে সব কিছুর প্রস্তুতিও শুরু হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে, সিটি করপোরেশন নির্ধারিত দাম ১৪৫ টাকা। গেল শুক্রবার কারওয়ান বাজারেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজিতে। সে হিসেবে কেজিতে দাম কমেছে অন্তত ২০ টাকা। বর্তমানে পাকিস্তানি কর্ক ২৮০ টাকা কেজি ও দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের হালি এখন ২৫ টাকা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন