বিজ্ঞাপন

শিক্ষকের পর প্রিয় শিক্ষার্থীও পেলেন একই ডি. লিট

May 26, 2018 | 6:31 pm

। সন্দীপন বসু ।

বিজ্ঞাপন

গুরু-শিষ্য পরম্পরা একেই বলে। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)  উপাধি পেয়েছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ড. আনিসুজ্জামানের পর এবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি. লিট উপাধি গ্রহণ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে শেখ হাসিনাকে এ উপাধি দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা সবাই তার সরাসরি শিক্ষক। তাদের মধ্যে জীবন্ত কিংবদন্তি হলেন প্রফেসর প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, ড. রফিকুল ইসলাম, নীলিমা ইব্রাহিম প্রমুখ। প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি হলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাহিত্যিক, ভাষাবিদ, গবেষক প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।

শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে কোনোদিনই খামতি দেখা যায়নি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মধ্যে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েও সবসময়েই তিনি রেখেছেন শিক্ষাগুরুর মর্যাদা। সবশেষ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে বাংলা একাডেমির বইমেলা উদ্বোধনের সময়ে গুরুভক্তির পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সেখানে লালগালিচা প্রদান করা হয়ে থাকে। বইমেলা উদ্বোধনী মঞ্চে ওঠা-নামার পথেও লালগালিচা দেয়া ছিল। কিন্তু তিনি সেই লালগালিচা ব্যবহার করেননি। কারণ পাশে ছিলেন তার শিক্ষক এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। তিনি শিক্ষকের মর্যাদা ও সম্মানে লালগালিচা ছেড়ে লালগালিচার পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়েছেন। আর শিক্ষককে নিয়েছিলেন লালগালিচার ওপর দিয়ে।

এর আগেও ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. নীলিমা ইব্রাহীমকে দূর থেকে দেখতে পেয়ে সকল প্রটোকল ভেঙে ছুটে যান তার কাছে এবং শিক্ষকের পা ছুঁয়ে সালাম করেন।

সারাবাংলা/ এসবি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন