বিজ্ঞাপন

একনেকে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

May 29, 2018 | 2:20 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ত্রিপুরা থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কুমিল্লা হয়ে এ বিদ্যুৎ দেশে আসবে। এজন্য কুমিল্লা উত্তরে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। বিদ্যুৎ আমদানির প্রকল্পটি ছাড়াও মোট ১৩ প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অনুমোদন হওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ ১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৮শ ৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৫শ ৯২ কোটি ৩৪ টাকা খরচ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এখন থেকে দুই এবং তিন ফসলের জমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে কাজে লাগানো যাবেনা। এক ফসলী জমি হলে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যেতে পারে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের সবগুলো নদী বন্দর আবার চালু করতে হবে। কেননা আমরা যেহেতু ভারত ও নেপালের  সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি, তাই নদী বন্দরগুলো করা গেলে পরিবহন খরচ কমবে এবং সড়ক পথের উপর চাপ কমবে। তাই ড্রেজিং করে হলেও নদীবন্দর গুলো চালু করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। মূলত আমদানি সক্ষমতা আরও বাড়াতে নতুন করে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্প, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প,  ৫টি জোনের জেলা মহাসড়কসমূহ যথাযথ মান ও প্রত্যাশায় উন্নীতকরণ সংক্রান্ত পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া নগরবাড়ীতে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, মেইল প্রসেসিং ও লজিষ্টিক সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প, আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং এ্যাসেস টু সার্ভিসেস ( আইডিএ) প্রকল্প। মধুখালি হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন