বিজ্ঞাপন

কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ

June 3, 2024 | 3:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার দাম ঘোষণা করা হয়।

ঘোষণা অনুযায়ী, এ বছর রাজধানী ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার গুডস্ এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাহিন আহমেদ মাহিন বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে গত চার বছরে আমাদের পুঁজি জিরোতে পৌঁছেছে প্রায়। তারপরেও কিন্তু কোরবানির সময় চামড়া সংগ্রহে অংশ নেওয়া নৈতিক দায়িত্ব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এতিম ও মাদরাসা যাদের হক বলে থাকি কোরবানি দাতা যিনি থাকেন তিনি যেন চামড়া সংরক্ষণে দায়িত্বও যেন পালন করা হয়। আমরা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হাটগুলোতে বলেছি যেন পর্যাপ্ত লবন রাখা হয়। এটা করা হলে চামড়া ভালভাবে সংরক্ষণ হবে।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে লবণ দেওয়া না হলে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে চামড়া নষ্ট করে দেয়। আর তাতে ৪০ ভাগ ক্ষতি হয়ে যায়। এটা খেয়াল রাখতে হবে।

মাহিন বলেন, ঢাকাতে গরুর স্কয়ারফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি এবং প্রতি পিস গরুর চামড়া লবনযুক্ত ১২০০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি স্কয়ারফিট ৫০ থেকে ৫৫ আর প্রতি পিস নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে ঢাকায় প্রতি স্কয়ার ফুট লবনযুক্ত গরুর চামড়ার মূল্য ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

চামড়া সংগ্রহে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রতি বছরের মতো এবার যাতে সঠিক ভাবে চামড়া সংরক্ষণ হয় সেটাই উদ্দেশ্য। পাশাপাশি যাতে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা রফতানি করতে পারেন।

গত কয়েক বছরে চামড়ার ভালো মূল্য পাচ্ছেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চামড়া জাতীয় সম্পদ, এটা যাতে ভাল ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। আমরা সব সময় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা পলিসি মেকার করব, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। তারা ন্যূনতম যৌক্তিক মূল্য আছে তা হলে আস্থার জায়গা তৈরি করবে। প্রান্তিত পর্যায়ে যারা তারা চামড়া সম্পর্কে তেমন জানেন না। এখানে কিভাবে সংরক্ষণ করবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন