বিজ্ঞাপন

‘দুর্নীতির আখড়া’ বাফুফে, সোহাগের পদত্যাগ দাবি

May 31, 2018 | 6:00 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ ‘দেশের ফুটবলে একসময় সোনালী অতীত ছিল। এখন সেই অধ্যায় কবরে চলে গেছে। একজন সাবেক ফুটবলার আর কর্মকর্তা হিসেবে ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে সবসময় সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু দুর্নীতির আখড়া হয়ে গেছে বাফুফে। যেখানে নেই কোন স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা।’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দু’বারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি বাদল রায় দেশের ফুটবলের অধ্বপতন দেখে আক্ষেপ থেকেই কথাগুলো বলছিলেন। সম্প্রতি তাকে সড়ানোর জন্য দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ এই সহ-সভাপতির।

সহধর্মীনী মাধুরী রায়কে (বাদল রায়ের স্ত্রী) বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ মুঠোফোনে যোগাযোগ করে স্বামীকে ফুটবল ফেডারেশনে ‘না আসার ব্যাপারে হুমকি’ দেয়ার পরপরই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বাদল রায়।

বিজ্ঞাপন

নিজের ও বাফুফের অবস্থান পরিষ্কার করতে তিনি এ সম্মেলন ডেকেছেন বলে জানান বাদল রায়। আবু নাইম সোহাগের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় তার স্ত্রীর করা একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) কপি দেয়া হয় সাংবাদিকদের।

বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়ের করা সাধারণ ডারেরির কপি

চলতি মাসের ২৬ তারিখ ওয়ারী থানায় করা জিডি নং-১৮৫৯-এ মাধুরী রায় তার স্বামীর সম্মান আর জীবনের বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে জানান, ‘গত ২৬ মার্চ বেলা ৩ ঘটিকার সময় ফুটবল ফেডারেশনের এর সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু নাঈম সোহাগ মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকি স্বরে বলেন বাদল রায় যেন ফুটবল ফেডারেশনে না আসে। আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যদি তিনি আসেনও তাহলে এসে এক কাপ চা খেয়ে চলে যাবেন, এর বেশি নয়। আমার স্বামী তিন তিনবার ফুটবল ফেডারেশনের এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ভাই প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ ধরনের ফোন আমার কাছে হুমকি ও বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস মনে হয়। তাই আমার স্বামীর সম্মান ও জীবনের ব্যাপারে আমি খুবই আতঙ্কে আছি।’

সোহাগকে উদ্দেশ্য করে বাদল রায় বলেন, ‘একজন ফেডারেশনের ভেতনভুক্তী কর্মকর্তা কিভাবে ফুটবল কর্মকর্তার স্ত্রীকে কল করে এমন হুমকি দিতে পারে?’

বিজ্ঞাপন

বাফুফে দুর্নীতি আখড়ায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে এই সহ-সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, বাফুফেতে ফিফার অনুদান আসছে প্রচুর। কিন্তু এসবের কোনও খবর নেই। এর আগে একাডেমি নির্মাণের জন্য ফিফার সাত লাখ ডলার এসেছে। কোথায় গেল টাকা। বা অনুদান বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আসলে এখানে নেই কোনও স্বচ্ছতা বা জবাবদিহিতা।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বোর্ড সভায় তার সঙ্গে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় হাসানুজ্জামান খান বাবলু, আব্দুল গাফফার উপস্থিত ছিলেন। তাদের কথাও ঝড়ে পড়লো দেশের বেহাল অবস্থার কথা। বাদল রায়কে নিয়ে তার স্ত্রীকে (মাধুরী রায়) কল করে হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছেন এই দুই ফুটবলার।

বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক দেশের বাইরে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, আগামী মাসের দুই তারিখ (শনিবার) বাফুফের সাধারণ বৈঠক আছে। বৈঠকে স্টান্ডবাই কমিটির রদবদল হবে শোনা যাচ্ছে। সেখানে বাদল রায়কে সড়ানো হতে পারে বলে জানায় সংশ্লিষ্টসূত্র।

বিজ্ঞাপন

 

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন