বিজ্ঞাপন

সাদেক অ্যাগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিল ডিএনসিসি

June 27, 2024 | 1:42 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ের রামচন্দ্রপুর খালের সীমানার ভেতরে বানানো আলোচিত সাদেক অ্যাগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।

তবে সকাল সাড়ে দশটায় ঘোষিত সময় অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ের সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার রাতে ডিএনসিসি থেকে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় রামচন্দ্রপুর খামার দখল করে গড়ে ওঠা সাদিক অ্যাগ্রোর খামার উচ্ছেদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত সাদিক অ্যাগ্রোর সামনে সিটি করপোরেশনের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উচ্ছেদের খবরে বুধবার রাতেই খামারের বেশির ভাগ গরু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি গরু খামারে দেখা গেলেও কোটি টাকার বংশী ব্রাহমা গরুটি দেখা যায়নি। তবে খামারের একটি খাঁচায় ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ব্রিটল জাতের ছাগলটি রয়েছে। ছাগলটি ঘিরে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও, ছবি ও লাইভের কাজ সারছেন।

খামারে কর্মী স্বপন আহমেদ বলেন, ব্রাহমা জাতের গরুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোথায় সরানো হয়েছে তারা জানেন না।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন দেখা গেছে, খালের একাংশে মাটি ভরাট করে খামার গড়ে ওঠা ভবনে, ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘ ১০-১২ বছর যাবৎ খামার চালাচ্ছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান হোসেন।

তবে উচ্ছেদ অভিযানের সময় সাদেক অ্যাগ্রোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। তবে নিজেকে জমির মালিক বলে দাবি করে আব্দুল আলীম নামক এক ব্যক্তি জমির দলিল দেখান।

তিনি বলেন, দশ বছর আগে ইমরান হোসেন তাদের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে এই খামার গড়ে তোলেন। তিনি নিজেও পরিবারসহ এখানেই বাস করেম। এখানে কোন অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, দশ বছর আগে সিটি করপোরেশন থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। খালের সীমানার মধ্যে আমাদের কোনো স্থাপনা তৈরি করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তবে সীমানা প্রাচীরের ভেতরেও ভবনের অংশ থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মাত্র দুটো ঘর সীমানার ভেতরে। তারা (সিটি করপোরেশন) আমাদের বৈধ অংশও ভেঙে দিচ্ছে।

উচ্ছেদের খবরে সাদিক অ্যাগ্রোর আশপাশের অবৈধ দখলদারেরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ বলেন, ডিএনসিসির নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে উচ্ছেদ পরিচালনা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ছাগলকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে, খালের সীমানার মধ্যে অবস্থিত সাত মসজিদ হাউজিং ইউনিট আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় দেখা যায়। ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন নবী বলেন, নির্বাচনি প্রচারের সময় এটি বানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। দিলে ভেঙে দেবেন।

খালের মধ্যে কেন আধাপাকা ভবন নির্মাণ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা সরকারের জায়গা, সরকারের অফিস। সরকার বললে ভেঙে দেব।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাকাব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।

মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, আজকের অভিযান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। রামচন্দ্রপুর খালসহ অন্যান্য খালের ওপর যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ডিএনসিসির ধারাবাহিক অভিযানের অংশ এটি। এর আগে দশতলা ভবনও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এভাবে সীমানা প্রাচীরের ভেতরে থাকা অন্যান্য স্থাপনাও ভেঙে দেওয়া হবে।

এক মাস আগেই সাদেক অ্যাগ্রোকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন