বিজ্ঞাপন

সানিকে ‘নির্লজ্জ’ বললেন জায়েদ খান

June 2, 2018 | 4:30 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানিকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখা যায়। কখনো তিনি শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর আবার কখনওবা সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলছেন। আর এ নিয়ে চলচ্চিত্র মহলে তৈরি হচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো শিল্পী সমিতির ইফতারের আমন্ত্রণপত্র না পাওয়ার অভিযোগ। গতকাল (১ জুন) ওমর সানি ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় শিল্পী সমিতির ইফতারে দাওয়াত না পাওয়ার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘এইসব ফালতু বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আর এটি কথা বলার মতো কোনো বিষয় বলেও মনে করি না।’

বিষয়টি আদৌ ‘ফালতু’ কিনা জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিলো ওমর সানির সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘যা বলার সব তো ভিডিওতে বলেছি আমি। এরপর আর কি-ই বা বলার থাকে? বিষয়টি কোনো ভাবেই ফালতু নয়। আমি শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েও কেনো আমন্ত্রনপত্র পাব না? শুধু আমি না, নায়িকা রত্নাসহ আরো অনেকে আমন্ত্রণ পায়নি।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান দাবি করছেন, ওমর সানি অসত্য বলছেন। কারণ তিনি নিজে ওমর সানির বাসায় আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন। ওমর সানি বাড়িতে না থাকায় তার গার্ডের কাছে কার্ড দিয়ে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ওমর সানি বলছেন, ‘আমি বাড়িতে না থাকলে জায়েদ আমাকে ফোন দিতে পারতো। জায়েদ আমার ভাই, যখনই ফোন দিত তখনই ওর সাথে আমি দেখা করতাম।’

ওমর সানি অভিযোগ করেন, ‘যে স্বাক্ষরে তার কার্ড রিসিভ করা হয়েছে সেটি জাল।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনন্ত জলিলের কার্ড রিসিভের স্বাক্ষর আর আমার কার্ড রিসিভের স্বাক্ষর এক। আমার বাসার গার্ড আর নায়ক অনন্ত জলিলের স্বাক্ষর এক হয় কিভাবে? নিশ্চিতভাবে এটা একটা জালিয়াতি। এটা ঠিক নয়। আমি জায়েদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। সে রোজার মাসে আল্লাহর কসম দিয়ে বলেছে যে আমাকে কার্ড দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এই ‘রেষারেষি’র শেষ হবে কবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সানি বলেন, ‘অনেকে বলে আমি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এমন বলছি। আচ্ছা মানলাম আমি নির্বাচনে হেরে গিয়ে এমন করেছি। কিন্তু মৌসুমী তো নির্বাচিত হয়েছিল সে কেনো পদত্যাগ করলো? নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। এই রেষারেষি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে বর্তমান কমিটিকে। আমার প্যানেলে যারা ছিলো তাদেরকে শিল্পী সমিতির কোন কাজেই ডাকা হচ্ছে না। এটা কেন হবে? আমরা তো শিল্পী। রেষারেষি কখনো শিল্পের জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনে না।’

সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওমর সানির দিকে পাল্টা অভিযোগের আঙুল তোলেন জায়েদ খান, ‘একজন মানুষ কতোটা নির্লজ্জ হলে এভাবে ফেসবুক ভিডিওতে মিথ্যাচার করতে পারে আমার জানা নাই! তার মতো সিনিয়র অভিনেতা যদি এমন করেন তাহলে মেনে নেয়া যায় না। সত্য কথা বলতে কি, তিনি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে হেরে গিয়ে এমন পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমি নিশ্চিত উনি কার্ড পেয়েও অস্বীকার করছেন।’

কিন্তু নায়িকা রত্নাও নাকি একই অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে কি বলবেন? উত্তরে জায়েদ খান বলেন, ‘রত্না বাসা পরিবর্তন করায় তাকে আমরা দিতে পারিনি। আমরা আমাদের শিল্পীদের বারবার বলি আপনারা বাসা পরিবর্তন করলে নতুন ঠিকানা দিয়ে যাবেন।’

বিজ্ঞাপন

জায়েদ খান আরো যোগ করেন, ‘সানি ভাই সবসময় শিল্পী সমিতির পিছনে লেগে থাকেন। আমরা ভালো ভালো পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে সেটা তার সহ্য হচ্ছে না। তিনি সবসময় চেষ্টা করছেন কিভাবে জায়েদ খানকে দাবিয়ে রাখা যায়! তিনি তো চার বছর শিল্পী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখন যদি প্রশ্ন করি, কি করেছেন ওনারা ওই চার বছরে? কিছুই করেননি। একটা ইফতার মাহফিল তো দূরে থাক একটা জেনারেল মিটিংও তারা করতে পারেননি। তাদের আমলে শিল্পী নয় এমন অনেকে শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েছে। আমরা বর্তমান কমিটি শিল্পী সমিতির অফিসের চেহারা পাল্টে দিয়েছি। শিল্পীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছি। আরও অনেক উন্নয়ন সামনে আসছে। আমরা শিল্পীদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। এতে কেউ হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরলে আমাদের কিছু করার নেই।’

সারাবাংলা/আরএসও/টিএস

Posted by Omar Sani on Friday, 1 June 2018

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন