বিজ্ঞাপন

প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো খাবার শিশুদের না খাওয়ানোর আহ্বান

June 5, 2018 | 6:23 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো খাবার শিশুদের না খাওয়ানোর আহ্বান এসেছে চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এক নাগরিক সমাবেশ থেকে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা.এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম এই আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগি মোড়ে এই নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশবাদী সংগঠন পিপলস ভয়েস ও বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি, চট্টগ্রাম অঞ্চল যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান।

সমাবেশে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি ডা.এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে মায়েদের বলতে চাই- প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো শিশু খাদ্য বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এ ধরনের শিশুখাদ্য পরিহার করুন। প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটিতে মেশে না, ক্ষয়ও হয় না। এর কারণে লিভার ও কিডনিজনিতসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলরোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি পলিথিনের বদলে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, চটের বস্তার ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। একটি মহল বাংলাদশের পাটশিল্পকে ধংস করতে পলিথিন-প্লাস্টিকের রমরমা বাণিজ্যকে রক্ষা করতে চাইছে। এটা কোনোভাবেই করতে দেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংসদে পলিথিন নিষিদ্ধের বিল পাস হয়েছে। কিন্তু আইন থেকে লাভ কী, এর প্রয়োগ তো দেখি না। সব জায়গায় এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার।

একই সমাবেশে বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ৬০ লাখ মানুষ যে পলিথিন ব্যবহার করে প্রায় পুরোটাই নালা-খাল হয়ে নদীতে গিয়ে পড়ছে। আর বাকি অংশ মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতের পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না। নতুন প্রজন্মকে আমরাকেমন বিশ্ব দিয়ে যাচ্ছি তা আমাদের ভাবতে হবে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতি কমাতে একই পলিথিন বা প্লাস্টিকের পুনঃব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে এসব পণ্য ব্যবহার একেবারে বন্ধ করতেহবে।

বিজ্ঞাপন

পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান বলেন, উৎস বন্ধ না হলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। দেশে এখনো শতাধিক পলিথিন কারখানা চালু আছে। সেসব কারখানা চালু রেখে শুধু আইন করে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।  পলিথিন বন্ধ করে দেশীয় শিল্প বাঁচাতে হবে।

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, পলিথিন বর্জ্য ক্রমাগত বাড়ছেই। শৈশবে দেখেছি পাট দিয়ে ব্যাগ-বস্তা সবই হয়। প্লাস্টিকের বিকল্প হলো পাটজাত দ্রব্য। রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা পলিথিন-প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখবেন কি না।

পিপলস ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংগঠক সুনীল ধর, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদাবেগম শিরু, রাজনীতিবিদ হাসান মারুফ রুমি, সেলিম আকতার পিয়াল, কাজী এ এম এম মমতাজুল ইসলাম, খেলাঘর সংগঠক ইন্দিরা চৌধুরী, রুমা বিশ্বাস ও কাবেরী আইচ এবং পরিবেশ সংগঠক তপন দে।

সারাবাংলা/আরডি/টিএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন