June 6, 2018 | 1:02 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতিকে (বাবুল চিশতি) কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৬ জুন) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আদালত তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও এ মামলায় অপর আসামি ফারমার্স ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২৯ মে মঙ্গলবার বাবুল চিশতির জামিন আবেদনের উপর শুনানি পর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিশতী।
গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বাবুল চিশতীকে গ্রেফতার করে দুদক। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।
গত ৩ এপ্রিল ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক।
২০১৩ সালের ৩ জুন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই