বিজ্ঞাপন

আদালতের বিরতিতে জাউ ভাত খেলেন খালেদা

December 21, 2017 | 4:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সকাল এগারটায় টানা তৃতীয় দিনের মতো পুরান ঢাকার বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতে আসেন খালেদা জিয়া। তার চারপাশে তখন আইনজীবী  আর নেতা-কর্মীদের ভীড়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের স্পেশাল সিকিউরিটি সার্ভিস (সিএসএস) ঘিরে রাখে তার গাড়ির দরজা। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ তাকে হাত ধরে নামিয়ে নিয়ে এজলাসে ঢোকেন। পাশে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।

কমলা, হলুদ আর গোলাপি রঙের মিশেল জর্জেট শাড়ি ও হলুদ ওড়না পরা খালেদা এজলাসে আলাদা করে রাখা চেয়ারে বসেন। সামনেই ছোট্ট টি-টেবিল। বিচারকের সামনে বসে থাকা খালেদাকে এ সময় স্বাভাবিক আর হাসি-খুশি দেখাচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

বেলা সোয়া এগারটায় শুরু হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচার কাজ। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। টানা দু ঘণ্টার শুনানির পর মধ্যাহ্ন বিরতি  দেয় আদালত।

এজলাসের ভেতরে আলাদা ছোট ঘরে খালেদা জিয়া বিশ্রামে যান। সেখানেই তার জন্য আয়োজন করা হয় দুপুরের খাবারের। কী খেলেন খালেদা? সাথে থাকা আফরোজা আব্বাসের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘বাড়ি থেকে আনা জাউ ভাত খেয়েছেন তিনি। আতপ চালের জাউ ভাতের সঙ্গে ছিল মুরগির মাংসের ঝোল আর সবজি।’

বিজ্ঞাপন

খাওয়া শেষে আবারও এজলাসের সামনের চেয়ারে বসেন খালেদা। এক ঘণ্টা পর আবারও শুরু হয় মামলার বিচার কাজ। শেষ হয় বিকাল ৪টায়। শুনানিতে এমন দীর্ঘ সময় ধরে থাকা বা খালেদা জিয়ার টানা হাজিরার দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

এর আগে অর্ন্তবর্তী জামিনের তারিখ শেষ হলে আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়  বিশেষ জজ আদালত।

বকশিবাজারের অস্থায়ী এজলাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার কাজ চলছে। দুদকের দায়ের করা মামলা দুটির মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ  ছয়জন। মামলাটিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এরিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। অন্যদিকে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি খালেদা জিয়াসহ চারজন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে  এখন আদালতে বিচারাধীন আছে ৩৭টি মামলা। যার মধ্যে ৫টি গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা। বাকি ৩২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া, হত্যা, মানহানি ও রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে বর্তমান সরকারের সময়ে দায়ের করা ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেডএ/জেডএফ/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন